এফএনএস বিদেশ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের চাপ কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সফর করছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি কম্বোডিয়ার রাজধানী ফনম পেনে পৌঁছেন। এর আগে তিনি ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া সফর করেন। খবর এএফপির। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের ওপর বহুল আলোচিত উচ্চ হারে বাণিজ্য শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীন এখন আঞ্চলিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে সেই অর্থনৈতিক চাপ কাটিয়ে উঠতে চাইছে। এর আগে গত সোমবার ভিয়েতনাম সফরের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু করেন শি জিনপিং। তার সফরসূচিতে থাকা এই তিনটি দেশই চীনের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। ওসিবিসি ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ লাভান্যা ভেঙ্কটেশ্বরণ মনে করেন, বাণিজ্য এবং প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনের এই অঞ্চলের সঙ্গে অত্যন্ত শক্তিশালী সম্পর্ক বিদ্যমান। চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীন স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশগুলোর ওপর জোর দেবে, যাদের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অ্যালেক্স হোমস এই সফরকে চীনের ‘জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যেখানে বৃহত্তর আর্থিক সহায়তা ও ঋণের প্রতিশ্রুতি থাকতে পারে। অ্যালেক্স আরও উল্লেখ করেন, চীনের ওপর আকাশচুম্বী শুল্কের কারণে চীনা পণ্যের তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রপ্তানি করার প্রবণতা আরও বাড়বে। তবে লাভান্যা ভেঙ্কটেশ্বরণ মনে করেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো চীনের সঙ্গে আলোচনায় যথেষ্ট সতর্ক থাকবে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ক্রমবর্ধমানভাবে লক্ষ্যবস্তু হওয়ার একটি চাপা ভয় তাদের মধ্যে কাজ করছে। ফলস্বরূপ এই সফরে তাৎক্ষণিক কোনো বড় চুক্তি না-ও হতে পারে। যদিও বৃহত্তর সহযোগিতার একটি সম্ভাবনা তিনি দেখছেন। তার মতে, এই সফর মূলত সম্পর্ক স্থাপন ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও মজবুত করার একটি প্রয়াস।