দেবহাটা অফিস \ দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালনে এগিয়ে চলেছে খামারিরা। গরু পালনের বিশেষ ক্ষেত্র ও পরিচিতির বিষয়টি বিশেষ ভাবে আলোচিত হলেও ছাগল পালনের সম্ভাবনা এবং ক্ষেত্রটি দিনে দিনে স্পষ্ট হচ্ছে। গরু অপেক্ষা ছাগল চাষে খরচ ও পরিশ্রম উভয়ই কম এবং লাভবান হওয়ার ক্ষেত্র ও অধিকতর যে কারনে ছাগল চাষে সব ধরনের মানুষের অংশ গ্রহন বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সর্বত্র ছাগল পালন হচ্ছে। বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল বিশষ করে দেশী ও বিদেশী ছাগলের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষনীয়। ছাগল চাষে বা পালনে খুব বেশী যায়গার প্রয়োজন পড়েনা অন্যদিকে ছাগলের বংশবৃদ্ধির ঘটনা অতি মাত্রায়সহনশীল। বাসা বাড়ীর পাশাপাশি লবনাক্ত ঘেরে ছাগল চাষ হচ্ছে। এবং বানিজ্যিক ভাবে এই চাষের প্রতি দিনে দিনে চাষীরা ঝুকছে। ছাগল চাষে মূলত প্রাকৃতিক খাদ্যই সর্বপেক্ষা পরিচিত।তবে বানিজ্যিক ভাবে খামারে আবদ্ধ করে করা চাষী ছাগলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম খাদ্য সরবরাহ করা হয়। উপজোর প্রত্যন্ত এলাকা গুলোতে দৃশ্যত বাসা বাড়ীতে ছাগল পালনের বিশেষ ক্ষেত্র দেখা যায়। উপজোর পারুলিয়ার বিশ্বাষ পাড়ার জামিলা খাতুন একটি বকরির বাচ্চার মাধ্যমে ছাগল পালন শুরু করে বর্তমানে জামিলার গোয়ালে সতের টি ছাগলের উপস্থিতি। একই পাড়ার সহিদুল্লাহ বাহার দুটি ছাগলের মাধ্যমে ছাগল পালন শুরু করে বর্তমানে তার সংগ্রহে পঁচিশটি ছাগল।গত তিন বছরে সহিদুল্লাহ অন্তত দশটি ছাগল এক থেকে একলাখ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। গ্রামের মা বোনদের মহলে ছাগল পালনে বিশেষ আগ্রহের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় খাসি ছাগলের পাশাপাশি বকরি ছাগলে পালনে ও এগিয়ে চলেছে তারা। কুলিয়ার হালদার বাড়ী এলাকায় দিপংকর বিশ্বাস বলেন ছাগল বিক্রির জন্য বর্তমানে হাট বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা। পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা গ্রামে গ্রামে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ছাগল ক্রয় করে থাকে। বর্তমানে খাসির মাংস কেজি প্রতি এক হাজার হতে এগার শত বিধায় ছাগলের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং লাভজনক ব্যবসার কল্যানে ছাগল চাষে অধিকতর ঝুকছে। সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ জেলার বাইরের ছাগল ক্রেতা ব্যবসায়ী ও কসাইরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ছাগল ক্রয় করে বহেরা, সখিপুর, পারুলিয়া এলাকায় ট্রাক ভরে নিয়ে যায়। যতই দিন যাচ্ছে ততোই দেবহাটায় ছাগল চাষ বানিজ্যিক ভাবে স¤প্রসারিত হচ্ছে এবং দেবহাটার ছাগল রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা পুরন করছে।