দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ দেশের বৈদেশিক উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত ও সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ী বর্তমান সময়ে চরম দুঃসময় অতিক্রম করছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় শত শত চিংড়ী ঘেরের বাজারজাত করনের অপেক্ষায় থাকা সহ মাঝারি আকারের চিংড়ী হলুদাভাব রং ধারন এবং মাথায় সাদা আকৃতির দাগ সম্বলিত আকারে পূর্ণতা পাওয়া চিংড়ীর মড়ক অভ্যাহত আছে। চিংড়ী ব্যবসায়ীরা জানান এ বছর চিংড়ীর মৌসুম চাষীদের জন্য আর্শীবাদ হিসেবে দেখা যায় কারন রেনু পোনার মূল্য বিগত বছর অপেক্ষা অনেক কম। কিন্তু বাস্তবতা হলো চাষীরা তাদের চাষ করা, আশার ক্ষেএ চিং মরতে থাকায় চরম অস্বস্থিতে ও দুশ্চিন্তায় দিন যাপন করছে।দেবহাটার পারুলিয়া এলাকার ঘপর ব্যবসায়ী ফারুক ও জসিম উদ্দীন জানান এই গোনে ঘেরের চিংড়ী ধরার জন্য দড়, আটন প্রস্তুত করলে ও গো আসার আগেই চিংড়ী মড়ক শুরু হওয়ায় বর্তমানে ঘের চিংড়ী শুন্য।গত বছর সাতক্ষীরা ঘের বয়বসায়ীদের একটি বড় অংশ না জেনে আমিরিকান মাদার খ্যাত এসপিএসের রেনু ঘেরে ছাড়ায় উক্ত রেনুর ফল ভাল হইনি। এ মৌসুমে আমেরিকান মাদারের রেনুর ব্যাপারে চাষীরা সতর্ক। সাতক্ষীরার কোন রেনু ব্যবসায়ী উক্ত রেনু লেবেল পরিবর্তন বা ভিন্ন লেবেল ব্যবহার করে কক্সবাজারের দেশী মাদারের রেনু বলে চাষীদের মাঝে বিক্রির চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন সূএ নিশ্চিত করেছে।চাষীদের আশাঙ্কা আমেরিকান মাদারের রেনু অজানায় ঘেরে অবমুক্ত করার বিরুপ প্রভাব কিনা সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘের ব্যবসায়ী সহ চিংড়ী চাষের সাথে সংশ্লিষ্টরা। জেলার অধিকাংশ ঘের চিংড়ী শুন্য। আর তার বিষাদময় ফলাফল জেলার মাছ আড়তগুলো চিংড়ী শুন্য। কথিত ভাইরাসে চিংড়ী মড়ক শুরু হওয়ায় দেশের রপ্তানী বানিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেই সাথে স্থানীয় অর্থনীতিতে ও মন্দাভাব বিরাজ করছে। সাতক্ষীরার অর্থনীতি দৃশ্যত চিংড়ী কেন্দ্রীক যে কারনে উৎপাদন ধ্বসের অনাকাঙ্খিত প্রভাব জেলার অর্থনীতিতে বইছে। চাষীরা লোকসানে মুখে। পরিস্থিতি বিবেচনায় চিংড়ী চাষীদের প্রণোদনার আওতায় আনা জরুরী।