শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

শেষ মুহুর্তের নাটকীয়তায় সেমিতে ইউনাইটেড

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ইউরোপা লিগের দ্বিতীয় লেগের অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হতে আর মিনিট তিনেক বাকি। এমন সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পিছিয়ে ছিল ৪-৩ গোলে। তখন টিভির পর্দায় দেখা যায় গ্যালারিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে রেড ডেভিলদের এক ক্ষুদে ভক্ত। ফুটবল অনিশ্চয়তার খেলা, তা আবারও প্রমাণ করল ইউনাইটেড। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা প্রথম মিনিটে সেই ক্ষুদে ভক্তকে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে দেখা গেল! ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অন্যতম স্মরণীয় এক রাত উপহার দিল ফুটবলপ্রেমীদের। উত্থান-পতন, উত্তেজনা আর নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ইউনাইটেড ৫-৪ ব্যবধানে হারাউ অলেম্পিক লিওকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে উঠে গেল রুবেন আমোরিমের দল। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের আলোয় অনেক বড় রাত পার করেছে ইউনাইটেড। তবে এই ম্যাচটি স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের জন্য আজীবনের গল্প হয়ে থাকবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোমাঞকর এক পরিবেশে ম্যাচটি খেলা হয়। আমোরিমের দল যখন ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল, তখন মনে হচ্ছিল তারা সহজেই জয় পেয়ে যাবে। কিন্তু লিও ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা ফেরায় ২-২ গোলে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে লিও মিডফিল্ডার করেন্টিন তলিসো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে মনে হচ্ছিল ইউনাইটেডের দিকেই ম্যাচ ঝুঁকে গেছে। তবে নাটক তখনো শুরুই হয়নি। বিশ^য়ের জন্ম দিয়ে একজন কম নিয়ে লিও দুই গোল করে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায়, মোট অ্যাগ্রিগেট ৬-৪ তখন। ফরাসি ক্লাবটির শেষ চারে পৌছানো সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল তখন। তারপর অবিশ^াস্যভাবে ইউনাইটেড ঘুরে দাঁড়িয়ে মাত্র সাত মিনিটে তিনটি গোল করে তাক লাগিয়ে দেয়। ব্রæনো ফার্নান্দেসের পেনাল্টিত থেকে ১১৪ মিনিটে গোল করে। এরপর মাত্র ৮৭ সেকেন্ডের মধ্যে কবি মেইনুর গোল রেড ডেভিলদের ৪-৪ সমতায় ফেরায়। এরপর ১২১তম মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেডার ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে। প্রতিবার যখন বল জালে জড়াচ্ছিল, গ্যালারির আওয়াজ ততটাই বেড়ে যাচ্ছিল। ম্যাগুয়েরের সেই হেডে পুরো স্টেডিয়াম যেন ফেটে পড়ে। দর্শকেরা গ্যালারিতে লাফাচ্ছিল আর রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়রা দৌড়ে মাঠে নেমে উদযাপনে যোগ দেয়। শেষ বাঁশি বাজার পর যখন স্কোরলাইন ৫-৪ এবং অ্যাগ্রিগেট ৭-৬, তখন যে গর্জন উঠেছিল, তাতে মনে হচ্ছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ড মাটিতে ধসে পড়বে। ইউনাইটেড চাইছে তাদের ১১৫ বছরের পুরোনো এই ঘর ছেড়ে আরও আধুনিক স্টেডিয়ামে যাওয়ার। যখন সেই বিদায়ের সময় আসবে, তখন ২০২৫ সালের এপ্রিলের এই লিওর বিপক্ষে ইউরোপা লিগ ম্যাচ নিঃসন্দেহে সেরা স্মৃতিগুলোর একটি হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com