ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ ডুমুরিয়া উপজেলার ১৩ নম্বর গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট মামলায় কারাগারে চেয়ারম্যান তুহিন শেখ পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ও মৎস্যজীবী লীগের নেতা। এদিকে চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার নির্দেশনা চেয়ে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমদাদুল হক রোববার উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট চিঠি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,জুলাই আন্দোলনের বিপরীতমুখি অবস্থানে থাকা গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন হাসিনা সরকারের পতনের পর তুহিন আত্মগোপনে চলে যায়। ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বিএনপি খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলার ৪৬ নম্বর আসামী। তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আন্তজার্তিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রদল কর্মী রকিবুল হাসান হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলার ১৫৬ নম্বর আসামী সে। এসব মামলায় সে উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তিকালিন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ১৭ এপ্রিল আদালতে আত্মসর্মপন করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকতা মোঃ এমদাদুল হক রোববার (২০ এপ্রিল) এক ২০২৫/১১(২৮) নম্বর স্মারকে ডুমুরিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ইতোপূর্বে নিবার্চিত তিনজন প্যানেল চেয়ারম্যানের নামও উল্লেখ করেছেন ওই পত্রে। স্থানীয়দের দাবি প্যানেল চেয়ারম্যানরা চেয়ারম্যান তুহিনের আজ্ঞাবহ। তারা যদি দায়িত্ব পায় তবে অদৃশ্যভাবে তুহিনের হাতেই থেকে যাবে ক্ষমতা। তাই মামলা থেকে রিলিজ না পাওয়া পর্যন্ত গুটুদিয়া ইউনিয়নে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া। যেহেতু দেশের প্রতিটি সিটি কপোর্রেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও পলাতক চেয়ারম্যানদের পদের বিপরীতে প্রথম শ্রেণির কর্মকতার্দের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন,গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান করাগারে বিষযটি আমাদের নজরে এসেছে। উধর্ধতন কতৃপক্ষকে জানান হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ি ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে। এক্ষেত্রে যদি প্যানেল চেয়ারম্যানদের নিয়ে কোন আপত্ত্বি না থাকে তবে তাদের মধ্য থেকে দায়িত্ব দেয়া হবে। এতে জটিলতা হলে বিকল্প ব্যবস্থতা নেয়া হবে।