এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে \ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের খাগড়াঘাট এলাকায় ডিজিএফআই’র তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে জেলি পুশকৃত আনুমানিক ২২০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পরিচালিত এ অভিযানে ১জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ডিজিএফআই সাতক্ষীরা উপ-শাখার সরবরাহকৃত তথ্য অনুযায়ী শ্যামনগর উপজেলার প্রতিনিধি সার্জেন্ট মোঃ আল মামুন এর তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর কালিগঞ্জ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোঃ নাহিদ হোসেন এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের খাগড়াঘাট এলাকায় আনুমানিক ২২০ কেজি বাগদা, গলদা ও হরিণা চিংড়িতে জেলি পুশ করার সময় বিভিন্ন আলামতসহ কওছার মোড়লের পুত্র মোঃ আতাউর মোড়লকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে সিরিঞ্জ, মেডিসিনসহ জেলি পুশের উপকরণ জব্দ করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিংড়িতে জেলি পুশের এমন কার্যক্রম অন্য স্থানেও চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে এবং সেই ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত। তিনি বলেন, আমাদের শ্যামনগর বিশ্বে বিখ্যাত সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার আর হোয়াইট গোল্ডখ্যাত চিংড়ি মাছের জন্য। এই চিংড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে, এই শিল্পে সম্পৃক্ত মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। চিংড়িতে জেলি পুশ করে ওজন বাড়ানো জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক এবং দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য বড় হুমকি। প্রশাসন এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, শ্যামনগর থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনগন সহযোগিতা প্রদান করে। পরবর্তীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪২ ধারা মতে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। জেলি পুশকৃত চিংড়ি বিনষ্ট করা হয় এবং পুশবিহীন চিংড়ি স্থানীয় মাদ্রাসায় প্রদান করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, চিংড়ি খাতে এই ধরনের অনিয়ম রোধে নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।