সোহরাব হোসেন শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জ থেকে \ পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে বনদস্য বাহিনীর অতিমাত্রা সক্রিয় এসম্পর্কিত বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক ফলাও করে বারবার প্রচারিত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকারী ভূমিকা অভাবে তীব্রমাত্রায় রূপ নিয়েছে। সুন্দরবনের পা ফেললেই বনদস্যুতে দেখা যায়। তাদের ফ্রি স্টাইল অত্যাচার ও চাঁদাবাজিতে উপকূলীয় ছেলেদের জীবন জীবিকার অবরণীয় দুঃখ দুর্দশা হতাশা নেমে এসেছে। সরকারের রাজস্ব দিয়ে জেলেরা নিরাপত্তার অভাবে সুন্দরবনের মাছ কাকড়া ও মধু আহরণ করতে পারছে না। সম্প্রতি কিছু সময়ে বনদর্শীদের বাড়াবাড়ি একটা বৃদ্ধি পেয়েছে জেলেরা বনে যেতে চাইছে না। বাপ দাদার পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। ফলে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার যা জাতীয় অর্থনৈতিক জন্য বড় ধাক্কা। স্থানীয় মহাজন ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে চড়ামূল্যের ধার দেনা করে জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে জাল নৌকা সহ প্রবেশ করা মাত্রই দফায় দফায় একাধিক বনদুস্যর দেখা। প্রত্যেক বাহিনীকে চাঁদা দিতে দিতে যে পরিমাণ মাছ কাকড়া আহরিত হয় বিক্রি করে পুরো টাকাটাই চলে যায়। চাঁদার টাকা না দিতে পারলে জাল নৌকো চিনিয়ে নিয়ে যায় মুক্তিপনে জিম্মি করা হয়। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান একাধিক বাহিনীর অত্যাচারে অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় গাবুরা গলা খালি মুন্সীগঞ্জ হরিনগর কৈখালীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার পাঁচ শতাধিক জেলের সুন্দরবনের মাছ কাকড়া মধু আহরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। জেলেদের স্বাভাবিক জীবনমাত্রায় নেমে আসবে বিপর্যয় বেড়ে যাবে সামাজিক অস্থিরতা।