এফএনএস স্পোর্টস: বিশ^কাপে জায়গা করে নেওয়ার আনন্দ যেন বেশিদিন স্থায়ী হলো না বাংলাদেশ নারী দলের জন্য। সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ^কাপ বাছাইপর্বে সফলতা পেলেও টি—টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের পারফরম্যান্স উদ্বেগজনকভাবে নিম্নমুখী। এরই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রকাশিত নারী টি—টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বশেষ বার্ষিক হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ এখন দশম স্থানে। নবম স্থানে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ড।
আইসিসির এই র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করা হয়েছে ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ম্যাচগুলোর ৫০ শতাংশ এবং এর পরের সময়ের ১০০ শতাংশ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। এই সময়ে বাংলাদেশ নারী দল খেলেছে ৯টি দ্বিপাক্ষিক টি—টোয়েন্টি সিরিজ, যার মধ্যে জয় এসেছে মাত্র একটিতে, আর একটি সিরিজ ড্র। বাকি ৭টিতে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন দল।
সর্বশেষ ২৩ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র তিনটিতে। এর মধ্যে সর্বশেষ নয় ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়াই র্যাঙ্কিংয়ে পতনের বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ১৯২, যা নবম স্থানে থাকা আয়ারল্যান্ডের ১৯৪ রেটিংয়ের চেয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট কম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শতভাগ বিবেচনায় আয়ারল্যান্ড ১০ ম্যাচে জয় পেয়েছে ৭টিতে, যেখানে বাংলাদেশ ১৭ ম্যাচে জিতেছে মাত্র তিনটিতে। এর প্রেক্ষিতেই র্যাংকিংয়ে বড়সড় ধাক্কা খেল টিম টাইগ্রেস।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে এসে তিন ম্যাচের টি—টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল আয়ারল্যান্ড নারী দল। সেই পারফরম্যান্স তাদের এই উন্নতির ভিত্তি তৈরি করেছে।
এদিকে শীর্ষ আটে কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রথমে আছে অস্ট্রেলিয়া, এরপর যথাক্রমে ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। এশীয় আরেক দল থাইল্যান্ড দুই ধাপ এগিয়ে এখন বাংলাদেশের পরেই, অর্থাৎ একাদশ স্থানে অবস্থান করছে।
র্যাঙ্কিং থেকে বাদ পড়েছে মেক্সিকো, চেক প্রজাতন্ত্র, ওমান ও ঘানাÑগত দুই বছরে আটটির কম ম্যাচ খেলায় তাদের নাম সরিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
টি—টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মেয়েদের এই দুর্দশা অবশ্যই আত্মবিশ্লেষণের দাবি রাখে। বিশ^কাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সত্ত্বেও ছোট সংস্করণে ধারাবাহিক ব্যর্থতা দলকে দীর্ঘমেয়াদে আরো পিছিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের মতো দল যখন ধারাবাহিক উন্নতি করছে, তখন বাংলাদেশের জন্য এই হুঁশিয়ারি ঘন্টা বলা যায়।