সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে পরীক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করায় ৩ বখাটের কারাদণ্ড কলারোয়ায় সার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে পৌর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ দেবহাটা ছাত্রদলের আহবায়ক ফহরাদকে অব্যাহতি কালিগঞ্জে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে এক সন্তানের জননীর মৃত্যু ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ শিক্ষক কালিপদ রায় সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করল এয়ার ইন্ডিয়া টানা ১৫ ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলন করে মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের বিশ্বরেকর্ড পুতিনের আমন্ত্রণে রাশিয়া যাচ্ছেন শি জিনপিং ভারতের সেনা—বিমানবাহিনীর তথ্য পাকিস্তানে পাচার, গ্রেফতার ২

কুমিরে ভরা জলাভূমিতে বিমান বিধ্বস্ত, ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার আরোহীরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

এফএনএস বিদেশ : আমাজনে কুমিরে ভরা জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর একটি ছোট বিমানের ছাদে ৩৬ ঘণ্টা কাটান পাঁচজন। এরপর তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বলিভিয়ার আমাজোনাস অঞ্চলে শুক্রবার স্থানীয় জেলেরা ওই ছোট নিখেঁাজ বিমানটি খুঁজে পান। তারপর একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে বিমানটি বৃহস্পতিবার বলিভিয়ার কেন্দ্রীয় বেনি বিভাগের রাডার থেকে হারিয়ে গেলে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে তিনজন নারী, একটি শিশু ও ২৯ বছর বয়সী পাইলট। তাদের ‘চমৎকার অবস্থায়’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বেনি বিভাগের জরুরি পরিচালনা কেন্দ্রের পরিচালক উইলসন আভিলা। পাইলট আন্দ্রেস ভেলার্দে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, একটি ইঞ্জিন বিকলের কারণে তিনি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। তখন বিমানটি বলিভিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বাউরেস শহর থেকে ত্রিনিদাদ শহরের পথে ছিল। কিন্তু বিমানটি হঠাৎ করে উচ্চতা হারাতে শুরু করে। পরে তিনি একটি উপহ্রদের কাছে একটি জলাভূমিতে নামিয়ে দেন। বিমানটির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচজন ‘কুমিরে ঘেরা’ অবস্থায় ছিলেন। কুমিরগুলো তাদের মাত্র তিন মিটার দূর পর্যন্ত চলে এসেছিল। ভেলার্দের ধারণা, বিমান থেকে পড়ে যাওয়া জ্বালানির গন্ধই ওই শিকারি প্রাণীগুলোকে দূরে রাখতে সাহায্য করেছে। তারা পানিতে একটি অ্যানাকোন্ডা দেখেছেন বলেও জানান পাইলট। এ ছাড়া উদ্ধারের অপেক্ষায় তারা এক যাত্রীর কাছে থাকা ময়দা খেয়ে বেঁচে ছিলেন। ভেলার্দে বলেন, ‘আমরা পানি পান করতে পারিনি, কোথাও যেতেও পারিনি কুমিরদের জন্য।’ বেনি স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রুবেন তোরেস রয়টার্সকে বলেন, ‘বিমানটি নিখেঁাজ হওয়ার পর অনেক জল্পনা—কল্পনা ও নানা তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল। আমি অত্যন্ত খুশি যে শেষ পর্যন্ত সব সংস্থা একত্র হয়ে নিখেঁাজদের খুঁজে বের করে তাদের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com