আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা’র আয়োজনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ নগরীতে রেফারি ইনন্সট্রাক্টরস সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ফিফা কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে দেশের সাবেক ফিফা এলিট রেফারি ও রেফারি ইনন্সট্রাক্টর তৈয়েব হাসান বাগদাদ যাবেন। এ উপলক্ষে তিনি কাতার এয়ারলাইন্স যোগে ৭ মে বাগদাদ যাবেন এবং ১২ মে দেশে ফিরবেন। তৈয়েব হাসান এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি (১০০ এর বেশি) আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন। রেফারিং-এ দু’জন মধ্যে বিভিন্ন রেকর্ডের অধিকারী হিসেবে তিনিই একমাত্র জীবিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব। দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারীজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়েব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়েব প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারী হিসেবে তিনি বিদেশে সর্বাধিকবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেছিলেন। করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান দেশ-বিদেশে প্রসংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক- জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। পুরস্কারের অর্থ এক লক্ষ টাকা তিনি স্থানীয় দুস্থ-পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করেন। ক্রীড়াঙ্গনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত। রেফারিং তথা খেলাধুলায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাব-ঢাকা, সাতক্ষীরা জেলা সমিতি-ঢাকাসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি