দেবহাটা অফিস \ সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী চিংড়ি মোকাম দেবহাটার পারুলিয়া মৎস্য সেটে এবার এক শ্রেণির চিংড়ি ব্যবসায়ীরা চিংড়ির বাজার মূল্য পতনের অশুভ চক্রান্তে নেমেছে এবং ক্ষেত্র বিশেষ সফলও হচ্ছে। স্বনামধন্য মৎস্য আড়তের একাধিক আড়তদার (কাটা মালিক), ঘের ব্যবসায়ী, চিংড়ি
উৎপাদনকারী এবং চিংড়ির সাথে সংশ্লিষ্টরা দৃষ্টিপাতকে জানান সেটে বিক্রির জন্য আনা চিংড়ির মূল্য গত দুইদিন যাবৎ প্রতি কেজিতে পঞ্চাশ/ষাট টাকা কম মূল্যে দরদাম করছে। তিন চার দিন পূর্বেও যে চিংড়ির কেজি প্রতি মূল্য ছিল ৮শ বা ৭শ বর্তমানে ক্রেতা ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এক জোট হয়ে সাড়ে ৭শ এবং সাড়ে ৬শ অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা কম। ইচ্ছাকৃত ভাবে দরপতনের, কম মূল্যে চিংড়ি ক্রয়ের ইচ্ছা, আকাঙ্খার বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে চিংড়ি পুশ করবে না বা চিংড়িতে পুশ হচ্ছে না এই ¯েøাগানকে সামনে রেখে তাদের এমন সিদ্ধান্ত। এই প্রতিনিধি ব্যাপক অনুসন্ধান পরবর্তী বিশ^স্ত সূত্র এমনকি কম মূল্যে ক্রেতাদের অনেকেই বলেছেন গত এক মাস পূর্বে চিংড়ি ক্রয় পরবর্তী বাজারজাত করনের যে ব্যবস্থা ছিল বর্তমানেও সেই ব্যবস্থা পুশ বিরোধী দোহাই দিয়ে যে কয়দিন কম মূল্যে বাগদা ক্রয় করা যায় সেটাই বড় লাভ। একাধিক আড়তদার ও ঘের ব্যবসায়ী ও চিংড়ির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান পারুলিয়া মৎস্য সেটে ডিজিটাল পরিমাপ (ওজন) ব্যবস্থা প্রবর্তনের সময়ে এক ে শ্রণির ব্যবসায়রিা ডিজিটাল পরিমাপের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে বর্তমানে চিংড়ি কম মূল্যে ক্রয়ের প্রবণতা উক্ত ব্যবস্থার বিরোধী কারীদের অনৈতিকতার অংশ কিনা সেটাও আলোচনা হচ্ছে। পারুলিয়ার মৎস্য আড়ৎ বরাবরই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং পুশ বিরোধী অবস্থানে অনড় বিধায় পুশ হচ্ছে না তাই মূল্য কম এমন দাবী কেবল আইন বিরোধী নয় অনৈতিক ও অব্যবসায়ীসুলভ। অসাধু ব্যবসায়ীরা সর্বদাই অনৈতিকতায় সংশ্লিষ্ট বর্তমানে পুশ হচ্ছে না তাহলে নিকট অতীতে কি চিংড়িতে পুশ হতো? আর যদি পুশ ব্যবস্থা থাকতো তাহলে সেই পুশে কোন কোন ব্যবসায়ী জড়িত ছিল? প্রশাসন কি জানতো? প্রকৃত ব্যবসায়ীরা জানান যে বা যারা পুশ করে বা করবে তারা কম মূল্যে ক্রয় করলেও করবে। বেশি মূল্যে ক্রয় করলেও করবে। আগে পুশ হতো এখন হচ্ছে না এই বক্তব্যে সুনাম সুখ্যাতি আর পুশ বিরোধী পারুলিয়া মৎস্য সেটের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী উঠছে। একটি সূত্র জানায় কোন কোন ব্যবসায়ী সেট থেকে চিংড়ি ক্রয় করে গোপন আস্তানা বা বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণির মহিলাদের (যারা চিংড়ির বাজারজাত করন প্রক্রিয়ায় জড়িত) মৎস্য সেট এলাকায় দেখা যাচ্ছে। পারুলিয়া মৎস্য সেট এলাকা পুরোপুরে পুশ মুক্ত, উপজেলার অন্যান্য মৎস্য সেটগুলোও পুশ মুক্ত করনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরী।