ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধে গত শনিবার বিকাল থেকে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যদিও তারপরও সংঘাতের সংবাদ পাওয়া গেছে। চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তিনটি ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করেছে। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আবার টুর্নামেন্টই স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটের আরো তিনটি টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হলো। স্থগিত হওয়া টুর্নামেন্টগুলো হলো- প্রেসিডেন্টস ট্রফি গ্রেড-টু, রিজিওনাল ইনট্রা-ডিস্ট্রিক্ট চ্যালেঞ্জ কাপ এবং ইন্টার-ডিস্ট্রিক্ট অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। গত শনিবার এক বিবৃতিতে পিসিবি জানায়, “দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতাগুলো একই পর্যায় থেকে পরবর্তীতে পুনরায় শুরু হবে এবং নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।” প্রেসিডেন্টস ট্রফি গ্রেড-টু টুর্নামেন্টটি শুরু হয়েছিল এপ্রিলের মাঝামাঝি এবং চলার কথা ছিল মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২২ মে। অন্য দুটি টুর্নামেন্টও মে মাসজুড়ে চলার কথা ছিল। তবে সবকিছুই এখন নির্ভর করছে পরিস্থিতির উন্নতির ওপর। এই সিদ্ধান্ত আসে এমন সময়ে, যখন পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে গত শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি আটটি ম্যাচ। এর একদিন আগেই অবশ্য পিসিবি জানিয়েছিল, বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রæত বদলে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনাও বাতিল করা হয় এবং বিদেশি খেলোয়াড়রা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন। এদিকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টা আগে আইপিএল ২০২৫-ও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত শনিবার সন্ধ্যায় আইপিএল পুনরায় শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। আইপিএল পুনরায় শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও ভারত ছাড়তে শুরু করেছেন আইপিএলের বিদেশি ক্রিকেটাররা। ৬২ জন বিদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই শনিবার ভারত ছেড়েছেন। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে লক্ষেèৗ সুপার জায়ান্টসে। লক্ষেèৗর কয়েকজন ক্রিকেটার নিজ ইচ্ছাই ভারতেই অবস্থান করছেন। দ্রæতই পুনরায় আইপিএল চালু হতে পারে সেই আশা নিয়ে দেশটিতে থেকে গেছেন তারা। উল্লেখ্য, এই অস্থিরতার মাঝে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বাংলাদেশের আসন্ন পাকিস্তান সফরও। মে মাসের ২১ তারিখে পাকিস্তানে পৌঁছে লাহোর ও ফয়সালাবাদে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।