এফএনএস বিদেশ : বারবার মস্কোর শান্তি উদ্যোগ লঙ্ঘন সত্তে¡ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় সরকারকে ‘কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই’ সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরুর সুযোগ দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এই প্রচেষ্টাও লঙ্গন করেছে। নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে মস্কো সফরকারি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর গতকাল রোববার সকালে পুতিন গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। তিনি জানান, রাশিয়া সংঘাত কমানোর জন্য একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু ইউক্রেন সেই প্রচেষ্টাগুলো ধারাবাহিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, ইউক্রেন জ্বালানি অবকাঠামোর বিরুদ্ধে হামলার ৩০ দিনের স্থগিতাদেশ লঙ্ঘন করেছে – তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একমত যে, ‘কমপক্ষে ১৩০ বার’। পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া কর্তৃক প্রবর্তিত ইস্টার যুদ্ধবিরতিও পালন করা হয়নি। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রায় ৫,০০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তবুও, বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য-যাকে আমরা পবিত্র মনে করি – আমরা তৃতীয়বারের মতো একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছি।’ তবে কিয়েভ এই উদ্যোগকেও উপেক্ষা করেছে। জেলেনস্কি রাশিয়ার বিজয় দিবসের যুদ্ধবিরতি উদ্যোগে সাড়া দেয়নি এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বড় আকারের আক্রমণ শুরু করেছে। ক্রেমলিনে সাংবাদিকদের ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘কিয়েভ সরকার আমাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের উত্তর না দিয়ে রেখে দিয়েছে। তাছাড়া, ৫ মে আমাদের প্রস্তাব ঘোষণা করার কিছুক্ষণ পরেই, কিয়েভ সরকার ৭ মে পর্যন্ত রাতারাতি বড় আকারের আক্রমণ শুরু করে।’ পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় ইউক্রেন ৫০০টিরও বেশি ড্রোন ব্যবহার করে বৃহৎ আকারে আক্রমণ চালিয়েছে এবং কুর্স্ক এবং বেলগোরোড অঞ্চলে রাশিয়ান সীমান্ত লঙ্ঘনের পাঁচটি প্রচেষ্টা চালিয়েছে। একই সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরে ৪৫টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। ৮, ৯ এবং ১০ মে আক্রমণ অব্যাহত ছিল।’ তথ্যসূত্র: তাস, আরটি