এম এম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি টু রুদ্রপুর নির্মাণাধীন কার্পেটিং সড়ক খুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে মৃতপ্রায় বেতনা নদীর ঝুঁকিমুক্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার পরিকল্পনা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে কুল্যা ইউনিয়নের সর্বস্তরের নারী পুরুষের অংশ গ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ি বাঁধ সংস্কার না করে মরে যাওয়া এবং শত শত ফুট চরভরাটি জমির পাশে খুবই শক্ত ও মজবুত বেড়ী বাঁধ সংস্কার করার অজুহাত দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্মানাধীন রাস্তার ব্যবহৃত ও রোলার কাজ সম্পন্ন করা মালাামল মেশিন দিয়ে খুড়ে ফেলে দেওয়ার কাজে পাউবোর ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকি ফেরদৌস পলাশ, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, আওয়ামীলীগ নেতা ফিরোজ খান মধু, ফারুক হোসেন, কে এম হুমায়ুন কবির, জুলফিকর আলী জুয়েল, রাজকৃষ্ট মন্ডল, রবীন মন্ডল, প্রদীপ মন্ডল, ফরহাদ হোসেন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তাগণ বলেন, কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি ব্রীজ হতে সুপারিঘাটা সড়কের রুদ্রপুর পর্যন্ত ওয়াপদার উপর দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন কার্পেটিং সড়কের কাজ শুরু করা হয় প্রায় দেড় বছর পূর্বে। বর্তমানে বেড করার পর খোয়া বালি দিয়ে রুলার দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন কার্পেটিং এর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। হঠাৎ করে পাউবো কর্তৃপক্ষ স্কেবেটর মেশিন দিয়ে নির্মানাধীন রাস্তা খুড়ে বাইরে ফেলে দিচ্ছেন। সেখানে মাটি দিয়ে বেড়ীবাঁধ উচু করা হবে বলে তারা (ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ) জানান। অথচ এই বাধ দিয়ে কখনো নদীর পানি ওভারফ্লো হয়না। মাটির কাজ করতে হলে এই আড়াই কিঃমিঃ বাদ দিয়ে বৃহত্তর বাকী অংশে কাজ করার দাবী জানান বক্তাগণ। রাস্তাটি নির্মীত হলে আশাশুনির সাথে শিল্পাঞ্চল বিনেরপোতার সাথে সহজ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। এলাকার হাজার হাজার মানুষ বিলের ধান পরিবহন ও মৎস্য ঘেরে যাতয়াত করতে পারবে। সড়ক দিয়ে মাছখোলা হয়ে সদর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কলারোয়া তালা উপজেলার মানুষ যাতয়াত করে থাকে। দীর্ঘকাল যাবৎ মজে যাওয়া বেতনা নদীর ওয়াপদার উপর দিয়ে মানুষের যাতয়াত থাকলেও বর্ষা মৌসুমে এলাকার মানুষের পথচলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বাধ উচু করার প্রয়োজন না থাকলেও নির্মানাধীন পাকা রাস্তার ইটখোয়া বালি খুড়ে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টির এলাকার জনগণ মেনে নেবে না। পাউবোর দ্বৈত নীতিকে পরিহার করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বার্থরক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে এব্যাপারে তারা মাননীয় এমপি, জেলা প্রশাসকসহ এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, জেলার সকল এলাকায় যেভাবে জনস্বার্থে ওয়াপদার উপর দিয়ে কাজ করা হচ্ছে, এখানে একই ভাবে করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান মরে যাওয়া এ নদীর বেড়িবাঁধের উপর এক বছর আগে থেকে কাজ করা হচ্ছে।