এফএনএস স্পোর্টস: শিরোপা নিশ্চিত করার সম্ভাবনায় মাঠে নামা পিএসজি প্রত্যাশিতভাবেই উড়িয়ে দিল অঁজিকে। তবে অন্য ম্যাচে মার্সেই ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেওয়ায় আপাতত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলকে। লিওনেল মেসি ও নেইমার চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। আগের ম্যাচের দল থেকে আরও পাঁচ পরিবর্তন আনেন কোচ পচেত্তিনো। তবে অঁজির মাঠে কখনোই তেমন কোনো ভাবনায় পড়তে হয়নি তাদের। লিগ ওয়ানে বুধবার রাতের ম্যাচটি অনায়াসে ৩-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। কিলিয়ান এমবাপে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সের্হিও রামোস। দ্বিতীয়ার্ধে তৃতীয় গোলটি করেন মার্কিনিয়োস। একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে নঁতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারতে বসেছিল মার্সেই। তবে দুবার পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা টানে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বর দলটি। পরে আরেক গোল করে ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মার্সেই। বাকি পাঁচ রাউন্ডে আর ১ পয়েন্ট পেলেই দশমবারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে পিএসজি। লিগে পিএসজির বিপক্ষে আগের ১১ দেখায় সবকটিতে হার, চলতি মৌসুমেও তাদের অবস্থান ভালো নয়। তবে এদিন শুরুটা বেশ আত্মবিশ্বাসী করে অঁজি। ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা; তবে সোফিয়ান বুফালের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে পাঞ্চ করে ফেরান গোলররক্ষক কেইলর নাভাস পরের মিনিটে আনহেল দি মারিয়ার কর্নারে টিলো কেরারের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান অঁজি গোলরক্ষক। একাদশ মিনিটে ফরাসি মিডফিল্ডার বুফাল দারুণ প্রতি-আক্রমণে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যের ধারেকাছে রাখতে পারেননি তিনি। ২৭তম মিনিটে দি মারিয়ার কর্নারে মার্কিনিয়োসের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটেই কাক্সিক্ষত গোল পেয়ে যায় তারা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে আশরাফ হাকিমির সঙ্গে একবার বল দেওয়া-নেওয়া করে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিচু কোনাকুনি শটে আসরে নিজের ২২তম গোলটি করেন সর্বোচ্চ স্কোরার এমবাপে। বিরতির আগের ১০ মিনিটে কয়েকটি পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ানো অঁজি ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত। তবে মোহামেদ আলি-চোয়ের দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। এরপরই দারুণ গোলে দলকে শিরোপার খুব কাছে নেন রামোস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দি মারিয়ার কর্নারে লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সাফল্যমন্ডিত ক্যারিয়ারে এমন অনেক গোল করা রামোসের পিএসজির জার্সিতে গোল হলো দুটি। ৬৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। তবে এমবাপের নিচু জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর অঁজির ফরোয়ার্ড কাসিমির নিঙ্গা বক্সে সফরকারী ডিফেন্ডার কেরারের ট্যাকলে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরে সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ৭৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন মার্কিনিয়োস। দি মারিয়ার ক্রসে হেডে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার থমাসকে পিএসজির তরুণ মিডফিল্ডার এঁদুয়া বিপজ্জনক ট্যাকল করে বসেন। রেফারি ঠিকমতো না দেখলেও ভিএআরের সাহায্যে এই তরুণকে লাল কার্ড দেখান। তাতে অবশ্য পিএসজির শিরোপার খুব কাছে যাওয়ার উৎসবে ভাঁটা পড়েনি। ৩৩ ম্যাচে ২৪ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৭৭। মার্সেইয়ের পয়েন্ট ৬২।