এফএনএস: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় ডেলিভ্যারিম্যান নাহিদ হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্তভার পেয়ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলার মধ্যে দুটি হত্যা মামলা। অন্য দুটি মামলা করেছে পুলিশ বাদী হয়ে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিউমার্কেট থানার ওসি শ ম কাইয়ুম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নাহিদ নিহতের ঘটনায় বুধবার রাতে একটি হত্যা মামলা হয়। নিহত নাহিদের চাচা মো. সাইদ যে হত্যা মামলা করেছেন, তা গোয়েন্দা রমনা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া দোকান কর্মচারী মুরসালিন নিহতের মামলাটিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ডিবির কাছে হস্তান্তর হতে পারে। মোট চারটি মামলায় এখন পর্যন্ত কতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি শ ম কাইয়ুম বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, সেসব নিয়ে কাজ চলছে। জানা গেছে, পরিবারের তিন ছেলের মধ্যে বড় ছিলেন নাহিদ। অভাবের সংসারে ১০ বছর বয়সেই আয়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন। তখন তিনি একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। সর্বশেষ কাজ শুরু করেন একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারিম্যান হিসেবে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচরে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন নাহিদ। ময়নাতদন্তে তার শরীরে বেশ কিছু ক্ষত পাওয়া গেছে। এর আগে সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।