বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত এবং স্বীকৃত চিংড়ী শিল্প। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দেশের চিংড়ী মাছের চাহিদা এবং গুনগত মান নিয়ে ইতিপুর্বে কোন ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত না হলেও সা¤প্রতিক বছর গুলোতে দেশের এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীদের অনৈতিকতার কারনে চিংড়ীর গুনগত মান নিন্মমুখি আর চিংড়ীর গুনগত মান বিপর্যয়ের অন্যতম কারন অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্বারা চিংড়ীর ওজন বৃদ্ধির লক্ষে অপদ্রব্য পুশ করা, তরল পদার্থ, পানি, জেলি সহ ওজন বর্ধন পদার্থ চিংড়ীতে পুশ করার ফলে স্বাভাবিকের অপেক্ষা চিংড়ীর ওজন বৃদ্ধি ঘটে। অবিলম্বে চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধ না হলে আগামী দিন গুলোতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের বিশেষ এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে খ্যাত চিংড়ী শিল্প নিশ্চিত ক্ষতির মুখে পড়বে। বিশ্ব বাজার দেশের চিংড়ীর চাহিদা অনেকাংশে হ্যাস পাবে আর প্রভাব পড়বে বৈদেশিক বানিজ্যে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে গত কয়েক বছর যাবৎ বৈদেশিক মুদ্রা বিশেষ এবং কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করেছে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম দ্বার হিসেবে খ্যাত আমাদের দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের এই মাধ্যমকে কোন অবস্থাতেই ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। আর এজন্য অবশ্যই আমাদের চিংড়ী শিল্পের উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে পরিচিত চিংড়ীতে পুশ বন্ধ করতে হবে। দেশের চিংড়ী উৎপাদনকারী জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম সাতক্ষীরা, এই জেলা যেমন চিংড়ী উৎপাদনে এগিয়ে অনুরুপ ভাবে রপ্তানী বাণিজ্যেও কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করছে। সাতক্ষীরা যেমন উৎপাদনে এগিয়ে চলা জেলা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে অনুরুপ ভাবে সাতক্ষীরাতেই ব্যাপক ভিত্তিক চিংড়ীতে পুশ হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন ডিপোর পাশাপাশি বাসাবাড়ীতেও চলছে পুশ। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন কে ধরে রাখতে পুশ রোধ করতে হবে।