এফএনএস: চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গমের সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক। সম্প্রতি দিনাজপুরের বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেন, প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করতে হয়। আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং চাহিদা অনুসারে দেশেই গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়ানোর এক মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট। সে লক্ষ্যে তাপসহিষ্ণু উচ্চফলনশীল গম ও ভুট্টার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এতে অতি উষ্ণতায়ও গম ও ভুট্টার বাড়তি ফলন মিলবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম চলছে। প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে গম ও ভুট্টার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। ফলে দেশে গম ও ভুট্টার চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের নতুন নতুন জায়গায় গম ও ভুট্টার চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি গম ও ভুট্টার উদ্ভাবিত নতুন জাতের বীজ উৎপাদনে জমির সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত জমি পেলে গম ও ভুট্টার নতুন জাতের বীজ উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। ড. গোলাম ফারুক জানান, সারাদেশে গমের চাহিদা ৭৫ লাখ মেট্রিক টন, দেশে উৎপাদন হয় ১২ দশমিক ৩ লাখ মেট্রিক টন। ভুট্টার চাহিদা ৭৭ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদন হয় ৫৬ লাখ মেট্রিক টন। বাকিটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় যুদ্ধের কারণে গমের সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের দেশে জমির সংকট রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে, লবনাক্ততা, সবকিছুর ওপর ভিত্তি করে নতুন নতুন জাতের বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত জমি পেলে একদিকে যেমন উৎপাদন বাড়বে, তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।