এফএনএস: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে তার কফিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে এলে প্রথমে কফিনটি দলীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদন করার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক এম এ মান্নান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। অধ্যাপক এম এ মান্নান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়ে গাজীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের ধর্ম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক এম এ মান্নান। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে মরহুমের কফিন নয়াপল্টনের কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে তার নামাজে জানাজার পর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের নেতারা। নয়াপল্টনে জানাজায় বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, হুমায়ুন কবির খান, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবু আশফাক খন্দকার, আনোয়ার হোসেইন, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভ‚ঁইয়া জুয়েলসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন। জানাজার আগে প্রয়াত নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অধ্যাপক আবদুল মান্নানের মৃত্যু রাজনীতিতে শূন্যতার তৈরি করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মান্নান সত্যিকারের তৃণমূলের নেতা। জনগণের নেতা। তার মৃত্যুতে গাজীপুরের রাজনীতিতে শূন্যতা সৃষ্টি হলো। বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদের আগ্রাসনে মানুষের জীবন যখন দুর্বিষহ, তখন এম এ মান্নানের চলে যাওয়া সামগ্রিক রাজনীতিতে শূন্যতা সৃষ্টি করলো। শুধু গাজীপুরের নয়, সারাদেশের রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, গাজীপুর জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে জুমার নামাজের পর আবদুল মান্নানের জানাজা হবে। জানাজা শেষে সালনা পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মা ও স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে মনজুরুল করীম রনি তার প্রয়াত বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পরে তার কফিন অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরে। সেখানে বাদ জুমা রাজবাড়ী মাঠে এবং বাদ আসর সালনায় সর্বশেষ জানাজার পর গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে অধ্যাপক এম এ মান্নানকে দাফন করা হবে। গাজীপুর জেলা বিএনপির তিন দিনের শোক: অধ্যাপক এম এ মান্নানের মৃত্যুতে গাজীপুর জেলা বিএনপি তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কোরান খতম, ইফতার মাহফিল ও দোয়া মাহফিলসহ দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধরাণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান।