এফএনএস: সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানোর পরও সংকট কাটেনি। বাজারের বেশিরভাগ দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। দু-একটি দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে, ঈদের আগেই কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি। মাছের দাম বাড়লেও সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর, শ্যামলী এলাকায় এই চিত্র দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। এই দাম আজ শনিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানান তারা। নতুন দাম অনুযায়ী ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হবে ৯৮৫ টাকায়। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১ লিটার ১৮০ টাকা ও পাম তেল ১ লিটার বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়। মিরপুর ১২ নাম্বার মুসলিম বাজারের ব্যবসায়ী আবু তালহা বলেন, তেল নেই কেন তা কোম্পানি কে জিজ্ঞেস করেন। ঈদের এক সপ্তাহ আগ থেকে তেলের গাড়ি আসে না। ৩-৪ দিন পর তেলের সরবরাহ বাড়বে শুনছি। ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে মুসলিম বাজারের একাধিক দোকানে ঘুরেছেন নির্মাণ শ্রমিক শফিক উদ্দিন। তিনি বলেন, দাম বাড়ানো ঘোষণা পর ভাবছিলাম তেল পাবো। কিন্তু কোনো দোকানে তেল পাইনি। মরিয়ম স্টোরের বিক্রেতা আকিব উদ্দিন বলেন, বাজারে খোলা আর ১-২ লিটারের বোতলজাত তেল নেই। কিছু দোকানে ৫ লিটার তেল আছে কিন্তু ইচ্ছে মতো দাম রেখে বিক্রি করছেন দোকানিরা। যার থেকে যা নিতে পারে নিচ্ছে, ৮০০- ৮৫০ কিংবা ৯০০ টাকা নিচ্ছে। রোববার তেল দেবে বলে কোম্পানিগুলো জানিয়েছে। ঈদের পরে গরুর মাংসের দাম ৭০০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। গত মাসে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হলেও ঈদের কয়েকদিন আগেই তা ৭০০ টাকা হয়ে যায়। অন্যদিকে ঈদের আগের দিন ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০ টাকা হলেও, ২০ টাকা বেড়ে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। দেশি মুরগি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। ঈদের পরে কিছু সবজির দাম কমলেও বেশিরভাগের দামই রয়েছে অপরিবর্তিত। রুই কাতল মাছের দাম কমলেও পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। বাজারে বড় রুই দুই কেজি ওজনের প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগে ছিল ৩২০-৩৫০ টাকা। ছোট রুই (নলা) ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ২০০ টাকা, রুই এক-দেড় কেজি ওজনের প্রতি কেজি ২৩০ টাকায়। কাতল মাছ তিন-চার কেজি ওজনের প্রতি কেজি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৫০ টাকা, মিরকা দেড় কেজি ওজনের প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শিং মাছ ৩৮০ টাকা আর বড় ইলিশ ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা ও ঢেঁড়শ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আলু প্রতি কেজি ২০, পেয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।