বাংলাদেশ বরাবরই দূর্যোগ প্রবন এলাকা হিসেবে চিহিৃত এবং প্রকৃতির নিষ্ঠুরতায় প্রতিনিয়ত এই সমতল ভূমি বিপন্ন এবং বিধ্বস্থ হয়েছে। বিশ্বের সর্বদক্ষিনে এবং অনন্য অসাধারন সম্পদ আর সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি আমাদের সুন্দরবনের উপকুলের জেলা গুলো মূলত প্রকৃতির নিষ্ঠুরতায় পূর্ণতা পেয়ে আসছে। বাংলাদেশের আর্থসামজিক বাস্তবতা অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা সুরক্ষিত ও সুসংহত। অতীতে প্রকৃতির দুর্বিপাক এর কল্যানে মানবতার মৃত্যু আর ধ্বংস স্তুপের যে মহালীলা দেখা যেত সা¤প্রতিক বছর গুলোতে ক্ষয়ক্ষতি এবং জীবনহানীর পরিমান উলেখযোগ্য ভাবে হ্যাস পেয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রেও প্রকৃতির দ্বারা নিগৃহীত দেশের তালিকায় যেমন নাম লিখিয়েছে অনুুরুপ ভাবে প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা, রুদ্ররোষ মোকাবিলায় সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিকট অতীতের ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় আইলা ও সিডরের কবল হতে দেশকে তথা দেশের উপকুলের জনপথকে দারুন ভাবে মোকাবিলা করেছে। বিশ্ববাসির বিস্ময় বাংলাদেশ যে সে প্রকৃতিকে জয় করতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে অতি স¤প্রতি বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপুঞ্জে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে যা ঘুর্ণিঝড়ের রুপ ধারন করে ভারতের উড়িষ্যা এবং আমাদের দেশের উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। আমাদের দেশের উপকুলীয় এলাকা হিসেবে বিশেষ ভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট কে বিবেচনা করা হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসবে আর এজন্য উদ্বেগ বা ভয়ের কারন নয়, প্রয়োজন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করা। বাংলাদেশ বিশ্ব সভ্যতায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষ ভাবে প্রশংসিত। আমরা আমাদের অবস্থান হতে ঘুর্ণিঝড় সহ যে কোন দুর্যোগ থেকে মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করি।