এফএনএস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। আমরা সবসময় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। কখনো পেছনের দরজা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির কালচার (সংস্কৃতি) শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ কখনো পিছিয়ে ছিল না। সবসময় আওয়ামী লীগের ভোটের পারসেন্টেজ বেশি ছিল। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। সব ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে আমরা এগিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসা দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা এতে অংশ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে চায়। আমাদের অপরাধটা কী? আমরা কোথায় ব্যর্থ হয়েছি? জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেক সবাই মানুষ হত্যা করেছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধনামন্ত্রী বলেন, মানুষ এবার ঈদে নির্বিঘœ বাড়ি গেছে এবং ফিরছে। মানুষ গ্রামের বাড়ে গিয়ে ঈদ করেছে, উৎসব করেছে। তিনি আরও বলেন, ঈদে আমাদের দেশের মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যায়। বিশ্বে অনেক দেশে এমন রীতি কমে গেছে। তবে শহরের মানুষ গ্রামে গেলে গ্রামেও অর্থ সরবরাহ বাড়ে। গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হচ্ছে। আমরা তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছি। গ্রামীণ অর্থনীতিও শক্তিশালী করছি। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা পরাধীনদের অনুসরণ করবো না। নিজস্বভাবে দেশের উন্নয়ন করবো। মাথা উঁচু করে চলবো। আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রসঙ্গে দলের সভাপতি বলেন, আমরা নিয়মিত সম্মেলন করি। সময় কাছিয়ে এসেছে। এর আগে আমরা কিছু কাজ করে থাকি। আগের ঘোষণাপত্রের অনেক কিছু বাস্তবায়ন করেছি। এদিকে দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিক বিটু বলেন, সভার শুরুতেই কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে তার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে’ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বাধা উপেক্ষা করেই ওই বছরের ৭ মে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়নি। ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি বৈঠক হলেও তাতে স্বল্প সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। শনিবারের বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে একদিন আগেই আভাস দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, এতদিন পর সবাইকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বৈঠক বসছে, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আসবে এটাই স্বাভাবিক।