কালিগঞ্জ (সদর) প্রতিনিধিঃ “গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ায় সময়ের শিহরণ, গ্রীষ্মের খরতাপে রক্তিম জাগরণ”। গ্রীষ্ম এসেছে গরম আর খরতাপ দিয়েই এটি উপলব্ধি করার বিষয় নয় বৈশাখের দুপুরে চারদিক যখম খা খা করছে, তখন বটের ছায়ায় কবির সুরে সুর মিলালে ক্ষতি কি, “কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে- তুমি আসবে বলে, রঙধনুটা মেঘ ছুয়েছে আকাশ নীলে- তুমি আসবে বলে”নগর জীবনের কর্মব্যস্ততায় হয়তো শিরদাঁড়া উচু করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়াকে পাশ কাটিয়ে গেছেন অনেকে। কিন্তু এক পলক দৃষ্টিতে যারা দেখেছেন রক্ত রাঙা একঝাক কৃষ্ণচূড়া ফুটে উঠেছে। নতুন বছরে নতুন করে রাঙিয়েছে কৃষ্ণচূড়া যার ফুলে মুগ্ধ সকলে। সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু। কৃষ্ণচুড়া এখনও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফুলটি হয় আমাদের জানান দিচ্ছেন। আমাদের দেশে মূলত দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটতে দেখা যায়। একটি আগুনের মত উজ্জল লাল, অন্যটি লাল ও সামান্য হলুদ। তবে লাল কৃষ্ণচুড়ার প্রাচুর্যই বেশি চোখে পড়ে। লাল হলদেটে রঙের কৃষ্ণচুড়া বর্তমানে বেশ বিরল। কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতি পরিচিত একটি ফুল। বাঙালীর কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় এ ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় উঠে এসেছে। শোভাবর্ধন কারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনক্রমে টিকে আছে লোহাগড়া ছোট্ট শহরের পথে প্রান্তরে। ধারণা করা হয় রাধাঁ ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে, এর রূপে মুগ্ধ হয়ে ব্যস্ত পথচারীও থমকে তাকাতে বাধ্য হন। এ ফুলের সৌরভে শালিক, ফিঙ্গে, ঘুঘু সহ দেশি প্রজাতির নানা পাখি আজ মাতোয়ারা। প্রকৃতি প্রেমিক ও কবি সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, কৃষ্ণ চুড়া ফুল প্রকৃতির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে। পথে প্রান্তরে দাড়িয়ে থাকা এই গাছগুলো শুধু শোভা বর্ধন করে না, মানব মনকেও আলোড়িত করে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার পাশের বাড়ির আঙিনায় স্কুল আঙিনায় প্রেসক্লাব আঙিনায় যেন লাল ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর, কৃষ্ণনগর, চাম্পাফুল, কুশুলিয়া মৌতলা, মথুরেশপুর ও ধলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে প্রচন্ড রুদ্রের তাপদাহে ক্লান্ত হয়ে মানুষ যখন ঝিমিয়ে পড়ছে, তখন সূর্য একটু অস্ত্র যেতেই মানুষ ছুটে চলেছে প্রকৃতির ভালোবাসার টানে আর এই প্রকৃতি যেন সেজেছে লাল রঙে।