এফএনএস: টানা পাঁচদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে কম বেশি ঝড় বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। এখনো দেশের সবগুলো বিভাগে ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। একই সময়ে দেশের ছয় বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছেÑ দেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। যা আগামী তিন দিন ধরে অব্যাহত থাকতে পারে। একই সময়ে দেশের ছয় জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রাঙামাটি, সৈয়দপুর, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং তা বাড়বে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। শনিবার রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৪৮ মিলিমিটার হয়েছে পটুয়াখালীতে। এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ীÑ মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২ টি নিম্মচাপ সৃষ্টি হওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে একটি ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ মাসে উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি বা তীব্র ধরনের কালবৈশাখী ঝড় বা বজ্রঝড় হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য এলাকায় ৩ থেকে ৪ দিন হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী বজ্রঝড় হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। যার মাত্রা হতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের অন্যান্য স্থানেও ২ থেকে ৩ টি মৃদু যার মাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ সেলসিয়াস আর মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মাত্রা হতে পারে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসে মে মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত সিলেটে হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর ৪৮৫ থেকে ৫৩৫ মিলিমিটার। এখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ৫১০ মিলিমিটার। রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হতে পারে ১৮৫ থেকে ২০৫ মিলিমিটার। যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৯৬ মিলিমিটার। রংপুর বিভাগে মে মাসে ২৫০ থেকে ২৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে স্বাভাবিক বৃস্টিপাতের পরিমাণ হওয়ার কথা ২৬১ মিলিমিটার। খুলনায় সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৮৫ মিলিমিটার। যদিও সেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৭৫ মিলিমিটার। বরিশালে ২৪৫ থেকে ২৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ২৬০ মিলিমিটার।