সাতক্ষীরার আমের নতুন করে পরিচয় করে দেওয়ার সুযোগ নেই। বছরের পর বছর সাতক্ষীরা আম দেশের রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে চলেছে। রসনা বিলাস আর সুস্বাদুর প্রতিক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। গত কয়েক বছর যাবৎ সাতক্ষীরার আম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ আর সুস্বাদু আমের কল্যানে নতুন ভাবে পরিচিত হচ্ছে। বিশ্বের দেশে দেশে আমাদের আম বিশেষ চাহিদার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাস্তবতা হলো আম রপ্তানীর মাধ্যমে দেশ কেবলমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে তা নয় এই আম বাংলাদেশের সম্মান আর মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করছে। সাতক্ষীরার উলেখযোগ্য সংখ্যক এলাকাতে আম নির্ভর অর্থনীতি বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী আম মৌসুমে আম ব্যবসার জন্য বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করে থাকে, আম বাগান গুলোতে মুকুল আসার আগেই বিক্রি হয়, চাষীরা বোল সহ আমগুটি রক্ষায় বিশেষ পরিচর্যা করে থাকে। গত দুই তিন বছর যাবৎ প্রকৃতির দূর্যোগ দুর্বিপাকের কল্যানে আমের উৎপাদন বিশেষ ভাবে হ্যাস পেলেও ব্যবসায়ীরা মূল্য যথাযথ পাওয়ায় খুব বেশী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েনি। গত কয়েকদিন যাবৎ ঘুর্ণিঝড় এর আশঙ্কায় আম ব্যবসায়ীরা বাগানে বাগানে তৎপর হয়ে পড়েছে আম ভাংগার জন্য, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ঝড় বা ঘুর্ণিঝড়ের দোহাই দিয়ে অপেক্ষাকৃত ভাবে কমমূল্যে আম সংগ্রহে। সাতক্ষীরার আম চাষে সরকারি পৃষ্টপোষকতা জরুরী তাহলে প্রান্তীক পর্যায়ের আম চাষীরা বিশেষ ভাবে লাভবান হবে এবং আম উৎপাদন গতি সঞ্চার করবে এমন প্রত্যাশা আম ব্যবসায়ীদের।