বিশেষ প্রতিনিধি \ আশাশুনিতে মাহফিলে মেয়েদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় স্বামী স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত ৫ই এপ্রিল সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা মোড়ে। থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে ও এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বললে তারা জানান, মাড়িয়ালা গ্রামে জামে মসজিদের আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে বকচর গ্রামের খালেক সরদারের পুত্র খায়রুল ইসলাম(২২) ও তার সঙ্গী আবুল হোসেন সরদার এর পুত্র অপি ইসলাম (২১) আনারুল ইসলামের পুত্র সাকিম ইসলাম(২৩), জহুরুল ইসলামের পুত্র ইসমাইল(৩০) শহিদুল ইসলামের পুত্র আলতাফ হোসেন(৩৫)আনারুল ইসলামের পুত্র রোহান(২৫) সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন বন্ধুরা মাহফিলে যায়। এর পর মাহফিলে উপস্থিত গ্রামের মেয়েদেরকে বিভিন্ন ধরনের কুরুচী পূর্ণ কথা বলতে থাকে তারা। মাহফিল কমিটের সেচ্ছাসেবকসহ মাড়িয়ালা গ্রামের রবিউল ইসলাম সরদার এর পুত্র আছাদুল ইসলাম(২৫) সহ তার বন্ধুরা প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেব বলে হুমকি দিয়ে মাহফিল থেকে চলে যায়। এমতাবস্থায় ২ দিন পর ৭ই এপ্রিল সন্ধ্যায় খায়রুলের নেতৃত্বে তার সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাড়িয়ালা মোড়ে উপস্থিত হয়ে উক্ত বিষয়ের জের ধরে রবিউলের চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে তার দুই পুত্র আছাদুল ও আল আমিন ইসলামের নামধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় তাদের পিতা চায়ের দোকানদার মাড়িয়ালা গ্রামের নুরালীর পুত্র রবিউল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তার স্ত্রী পারুল নাহার ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকেও লোহার রড দিয়ে ও ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা সহ কাপড় চোপড় ছিড়ে ছুটে শীলতাহানী ঘটায়। তার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও রবিউলের জামার পকেটে থাকা নগদ টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার ছেলে এস মাটিতে পড়ে থাকা আহত পিতা মাতাকে উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে এসে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আহতের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন ইসলাম(২০) বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উলেক করে অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে। এজাহার এর ভিত্তিতে থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঘটনার তদন্ত করে অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।