বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
‘মে দিবস’ শ্রমিকদের মর্যাদা ব্যতীত দেশ-জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয় মার্কিন রনতরিতে হুতিদের ড্রোন হামলা আগুন ঝরা তাপদাহ নানান ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে মসলা যুক্ত ভারী খাবার গ্রহণ না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের ডাঃ শরিফুল ইসলাম সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেলেন জিরো পয়েন্ট রুপালী ব্যাংকর নতুন শাখা উদ্বোধন ৮ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফতেপুর ইয়ংস্টার ক্লাব চ্যাম্পিয়ন সাতক্ষীরায় বিআরটিএ মোবাইল কোর্ট অব্যাহত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে তাপ প্রবাহজনিত পীড়ন প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় করণীয় বিষয়ে জনসচেতনা সভা অনুষ্ঠিত

কুশোডাঙ্গায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন \ চাহিদা পূরন করে পাঠানো হবে অন্য জেলায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

কুশোডাঙ্গা (কলারোয়া) প্রতিনিধি ঃ জেলার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাসি ফুটেছে কাঁঠাল চাষিদের মুখে। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, এবার অনুকূল আবহাওয়ায় গাছে ব্যাপক কাঁঠাল ধরেছে। তবে মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কাঁঠালগুলোর বৃদ্ধি কম হয়েছে। এরপরও কাঁঠালের ভাল ফলন পেতে কাঁঠাল চাষীরা দিন রাত পরিচর্যা করে যাচ্ছে। কিছু কিছু গাছে কাঁঠাল আগাম পাকতে শুরু করেছে। এছাড়া সবজি হিসেবে বাজারে কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে কোনো খরচ না থাকায় চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পায়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর কাঁঠাল রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে বলে আশা করছেন চাষীরা। কৃষকরা জানান, কাঁঠালের বিঁচি বা আটি এবং কাঁচা কাঁঠালের মোচা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালের খোলস ও পাতা গরু-ছাগলের প্রিয় খাবার। এ ছাড়া কাঁঠালের কাঠ থেকে আসবাবপত্র তৈরি করা ভালো হয়। কাঁঠাল সহ মৌসুমী ফল সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন। কলারোয়ায় উপজেলার কুশোডাঙ্গায় সব চেয়ে বেশি কাঁঠালের ফলন হয়। এসব গাছে রয়েছে প্রচুর ফল। এ অঞ্চলের কাঁঠালের প্রয়োজনীয় চাহিদা এবার যে ফলন হয়েছে তাতে হয়ত অনেকটা মেটানো সম্ভব হবে। এ এলেকায় প্রচলিত প্রথা হল “বৈশাখের শেষে জৈষ্ঠ মাসে বাড়ীর মেয়ে-জামাইকে নাইওর করে আম ও কাঁঠাল না খাওয়ালে মেয়ে-জামাই শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর উপর বেজায় অখুশী হন”। শ্বশুর-শ্বাশুড়ী দরিদ্র হলেও ধার দেনা করে টাকা এনে হলেও মেয়ে জামাইকে আম ও কাঁঠাল খাওয়ানো চাই কারণ মেয়ে-জামাইয়ের মন রক্ষা করতে হবে। কলারোয়া উপকেলা কৃষি কর্মকতারা বলেন, কাঁঠাল অত্যন্ত পুষ্টিকর হওয়ায় এর ফলন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাঁঠাল গাছের পাতা থেকে শুরু করে ফলসহ প্রতিটি অংশ ব্যবহার করা যায় বলে অন্যান্য ফলের তুলনায় এটি লাভজনক। ভাল ফসল হিসেবে কাঁঠাল উৎপাদন হয়। কাঁঠাল উৎপাদনে আলাদা কোনো যতœ নিতে হয় না বলে উৎপাদন খরচও কম। একটি কাঁঠাল গাছে গড়ে ২০ থেকে ৭০টি পর্যন্ত কাঁঠাল ধরেছে। প্রতিটি কাঁঠাল আকার ও চেহারাভেদে ৮০থেকে ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে কাঁঠাল পাকার উৎকৃষ্ট সময়। তবে এবার জ্যৈষ্ঠ মাসেও পর্যাপ্ত পরিমানে কাঁঠাল বাজারে বেচা কেনা হচ্ছে। কাঁঠাল রসালো ও সুস্বাদু একটি ফল, কোনো ধরনের সার-বিষ প্রয়োগ এবং যতন্ন ছাড়াই এ গাছ বেড়ে ওঠে। কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। যা প্রোটিন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ। গ্রাম ও শহর উভয় অঞ্চলের মানুষদের খুবই পছন্দের ফল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com