স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরায় বেসরকারী এনজিও আর আর এফের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ব্যর্থতায় সাধারন মানুষ ঋন গ্রহন না করেও ঋনের দায়ে জেল খাটছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে সাতক্ষীরা সুলতানপুর পালপাড়ায় আর আর এফ (ক্ষুদ্র ঋন) কার্যক্রমে বছির আহমেদ সাত আট মাস পূর্বে দায়িত্ব গ্রহন করেন। শুরু থেকেই এই কর্মকর্তা অত্যন্ত ধূর্ত এবং গ্রাহকদের সাথে একের পর এক প্রতারনা করে যাচ্ছে মর্মে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। ঐ কর্মকর্তা প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে জোর পুর্বক অর্থ আদায় করছেন। পরসম্পদ লোভী কর্মকর্তা বছির পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিরীহ মানুষকে তুলে নিয়ে মানহানি সহ আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তার এইরুপ কর্মকান্ডে স্থানীয় মানুষ সহ গ্রাহকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। খোজখবর নিয়ে আরও জানা গেছে, গত ৮ই মে দুপুরে শহরে সুলতানপুর ঝিলপাড়া এলাকার মনিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুন কে আচমকা তুলে নিয়ে আসেন। অথচ সে কখনও কোন সমিতির সাথে জড়িত ছিল না। পরবর্তীতে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তার মুক্তি মেলে। কোট সূত্রে জানাগেছে জাহানারা আর আর এফ থেকে একলক্ষ টাকা ঋন গ্রহন করেছে। এই মর্মে তিনি নাকি সাতক্ষীরা স্ট্যান্ডার ব্যাংক চেক নং-ঝইখ/ঝই ৮৪৩৭৯০৮ চেক প্রদান করেছেন। অথচ জাহানারা নামে নেই কোন ব্যাংক একাউন্ট এমনকি কোন সমিতির থেকে ঋন গ্রহন করেনি। অথচ এইরুপ ভাবে নিরীহ মানুষকে একের পর এক ঠকিয়ে যাচ্ছেন বছির উদ্দীন। এই নিয়ে এলাকায় মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর আর এফের ম্যানেজার বছির আহমেদ জানান, এটি অনাকাঙ্খিত আমার কিছু করার নেই। দায় পুলিশের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি গোলাম কবির জানান। বিষয়টি আমার জানা নেই তবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আইনগত ভাবে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।