এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকেঃ শ্যামনগর উপজেলা সদরে প্রশাসনের নাকের ডগায় পলী প্রাইভেট হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারী হাসপাতালে অবৈধ গর্ভপাতে মা ও শিশু’র করুণ মৃত্যু ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীর শিকারি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, পলী প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক উপজেলা সদর হায়বাতপুর গ্রামের শেখ মেহের আলীর পুত্র শেখ আহছান হাবিব (৩১), মাজাট গ্রামের আনসার গাজীর পুত্র হারুন গাজী (৪২), পার্শ্বেখালী গ্রামের মোমেন আলী সরদারের পুত্র কামরুল সরদার (২৫), মৃত বাবর আলী সরদারের পুত্র মমিন আলি সরদার (৫৫), নকিপুর গ্রামের রিংকু (২৭), ফুলতলা মাজাট গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র আল মামুন লিটন (৪২), বংশীপুর গ্রামের দুঃখের পুত্র নুরুজ্জামান (৩০), মরগাং গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র বাপ্পি (২৮), জহুর আলী গাজীর পুত্র কালাম (৪০), বাদাঘাটা গ্রামের আব্দুল আজিজ এর পুত্র আমজাদ হোসেন মিঠু (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মা ও শিশু হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-২৮। তারিখ-১৫/০৫/২০২২। উলেখ্য বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার দক্ষিণ শ্রীফলতলা গ্রামের আহম্মাদ শিকারির পুত্র বর্তমান শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জ পার্শ্বেখালি গ্রামের জাহাঙ্গীর শিকারী’র স্ত্রী শমিরন খাতুন সাবিনাকে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে ১৩ মে শুক্রবার দুপুর ১ টায় শ্যামনগর পলী প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অদক্ষ্য নার্স দিয়ে গর্ভপাত করাতে গিয়ে প্রসূতি মা শামিরন খাতুন সাবিনা (৩২) ও ৬ মাসের একটি শিশু’র মৃত্যু হয়েছে। পলী প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক শেখ আহসান ও হারুন নানান প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে নিহত গৃহবধুর মাতা হালিমা বেগম ও তার আত্মীয় স্বজনদের ম্যানেজ করে অতি গোপনীয় ভাবে দাফন সম্পন্ন করতে গেলে থানা পুলিশ জানতে পেরে মা ও শিশু লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম এর জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করে। যুবলীগ নেতা পরিচয়ে পলী প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক শেখ আহসান ও হারুন গাজী দীর্ঘদিন লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে ক্লিনিকটি পরিচালনা করে আসছে। এ ধরনের ঘটনা শ্যামনগরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্লিনিকে ঘটছে। মা ও শিশুটি মারা যাওয়ার পরে ক্লিনিক মালিক আহসান ও হারুন গা ঢাকা দিয়েছে। অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসায়ী ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের লোকজন, স্বজন ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, মা ও শিশু হত্যায় ১০ জনকে আসামী করে ও অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।