বিশেষ প্রতিনিধি \ কোচিং না করায় ও পরীক্ষায় পাশ করতে অবৈধ সূযোগের জন্য টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সালমান হোসেন (২২) নামের এক শিক্ষার্থীকে ডেকে ঘরের মধ্যে আটক রেখে লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে অমানুষিকভাকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর পিতা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মোহাম্মদ হানিফ বাদি হয়ে চারজনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১৭। নির্যাতনের ঘটনার মুলহোতা আইএইচটি’র তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ ছাড়াও হুকুমদাতা হিসেবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেডিওলোজী বিভাগের শিক্ষক সাইদী হাসান ও তার অনুসারী ম্যাটস’র দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু বকর রানাকে ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে। এদিকে সালমান হাসান এর উপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে আইএইচটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কে রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, সালমানের উপর নির্যাতনের ঘটনায় তার পিতা মোঃ হানিফ বাদি হয়ে শিক্ষক সাঈদার হাসান ও তিন ছাত্রের নাম উলেখ করে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উলেখ্যঃ- কোচিং না করায় ও পরীক্ষায় পাশ করতে অবৈধ সূযোগের জন্য টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সালমান হোসেন (২২) নামের এক শিক্ষার্থীকে ডেকে ঘরের মধ্যে আটক রেখে লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে অমানুষিকভাকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। নির্যাতনের একপর্যায়ে একটি জিআই পাইপ ভেঙে যায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।