এফএনএস স্পোর্টস: আগামী বছর এশিয়ান কাপের আয়োজক হিসেবে চায়নার বদলী হিসেবে জাপানকে দেখার সম্ভাবনাই বেশী, জাপান ফুটবল এসোসিয়েশনকে (জেএফএ) আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে চেয়ারম্যান কোজো তাশিমা জানিয়েছেন। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) গত শনিবার ঘোষনা দিয়েছে হঠাৎ করেই কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২৪ দলের আঞ্চলির এই চ্যাম্পিয়নশীপ চীনে আয়োজিত হচ্ছেনা। স্থানীয় গণমাধ্যমে কোন ধরনের বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে তাশিমা বলেছেন, ‘আমাদেরকে জানানো হয়েছে। জাপান যদি আয়োজক হতে পারে তবে বিষয়টি অবশ্যই আনন্দের।’ জেএফএ এ ব্যপারে তাৎক্ষনিক কোন মন্তব্য করেনি। আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে এশিয়ান কাপ আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো জাপানের রয়েছে। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথভাবে জাপানে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজিত হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৯ সালে রাগবি বিশ্বকাপ ও গত বছর অলিম্পিকের আসর বসেছিল টোকিওতে। চায়নায় থেকে সড়ে আসা এশিয়ান কাপের আয়োজক হিসেবে জাপান ছাড়াও সম্ভাব্য দেশ হিসেবে কাতার, সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়ার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে টুর্ণামেন্টটি ২০২৩ সালের শেষে কিংবা ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের শেষে কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের আসর। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচন্ড গরমের কারণে সৌদি আরবে বছরের মাঝামাঝিতে কোন টুর্ণামেন্ট আয়োজন কঠিন। অন্যদিকে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে অস্ট্রেলিয়া নারী বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক। গত বছর টোকিও অলিম্পিক জৈব সুরক্ষা বলয়ে কঠিন বিধিনিষেধের মধ্যে আয়োজিত হয়েছিল। করোনা মহামারীর কারণে বিদেশী কোন দর্শকের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি ছিলনা। মঙ্গরবার জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি ভাবে সীমান্ত খুলে দেবার আগে এ মাসেই সীমিত আকারে ‘টেস্ট ট্যুরিসম’ নামে একটি প্যাকেজ তারা চালু করতে যাচ্ছে। ২০২০ সালে মহামারী শুরু হবার পর থেকে দেশটিতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর আগে জাপান চারবার এশিয়ান কাপের শিরোপা জয় করেছে। এর আগে ১৯৯২ সালে জাপানে আয়োজিত টুর্ণামেন্টে আটটি দল অংশ নিয়েছিল।