এফএনএস: যশোরের অভয়নগরে ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক খন্দকার রকিবুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদিকে রকিবুল হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তলের একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। গত রোববার রাতে যশোর পুলিশের মিডিয়া সেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দত্তগাতী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল আলম, একই ইউনিয়নের দামুখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মিলন হাওলাদার, একই গ্রামের সুব্রত মন্ডল, তুহিন হাওলাদার, পিয়ুজ মন্ডল, খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা গ্রামের মেহেদী হাসান সবুজ ও যশোরের অভয়নগরের দত্তগাতী গ্রামের পীর মোহাম্মদ মোল্যার ছেলে জিয়াউর রহমান (৪০)। এদিকে গত রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মেহেদী হাসান সবুজ। তিনি জানান, রকিবুল এ হত্যাকান্ডে তিনজন অংশ নিয়েছিলেন। সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল আলমের নির্দেশে তারা রকিবুলকে গুলি করে হত্যা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, শনিবার অভয়নগর থানা পুলিশ উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দত্তগাতী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ও একই ইউনিয়নের দামুখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মিলন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দামুখালী গ্রামের সুব্রত মন্ডল, তুহিন হাওলাদার ও পিয়ুজ মন্ডলকে খুলনা পিটিআই মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক মিলন আরও বলেন, গ্রেপ্তার সাইফুল আলমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মেহেদী হাসান সবুজকে গত রোববার ভোরে ফুলতলার জামিরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবুজের দেওয়া তথ্যে অভয়নগরের দত্তগাতী গ্রামের আজিজ মোল্যার বাগানের ভেতর থেকে ব্যবহৃত পিস্তলের একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। পরে জিয়াউর রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১২ মে সন্ধ্যায় খন্দকার রকিবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বর্ষা বেগম ফুলতলা থেকে মোটরসাইকেলে অভয়নগরের দত্তগাতী গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ওরফে আলম মেম্বারের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। দাওয়াত খাওয়া শেষে রাতে ফুলতলায় ফেরার পথে দত্তগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন খন্দকার রকিবুল ইসলাম। এ সময় রকিবুলের স্ত্রীও গুলিবিদ্ধ হন। হত্যাকান্ডের পরদিন শুক্রবার নিহত রকিবুলের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন।