বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

কুশোডাঙ্গায় পাটের সবুজ পাতায় দোল কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

কুশোডাঙ্গা (কলারোয়া) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গার প্রধান অর্থকারী ফসল সোনালি আঁশ পাট চাষিদের মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ দেখা গেছে। মাঠের পর মাঠ পাটের সবুজ পাতাগুলোতে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। কুশোডাঙ্গায় সমাদৃত সোনালি আঁশ পাটের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। এখানকার প্রধান অর্থকরী ফসলই হচ্ছে পাট। শতবছর ধরেই বাণিজ্যিক ভাবে পাট আবাদ করে স্বাবলম্বী এখানকার প্রান্তিক চাষিরা। তাই এবারও কৃষকের যত স্বপ্ন পাটকে ঘিরে। ইতিমধ্যে পাটের চারাগুলো বড় হতে শুরু করেছে। কৃষকরাও তীব্র গরম আর ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন সোনালী আঁশ পাটের চারা পরিচর্যা কাজে। কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পিছলাপোল গ্রামের কৃষক মোঃ ইউসুপ বলেন- পাট চাষে বরাবরই আমরা বাম্পার ফলের স্বপ্ন দেখে থাকি। আবহাওয়া ভাল থাকলে আশা পূরণ হয় আর যদি খারাপ থাকে তাহলে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। তবে এবার যা দেখছি তাতে আল­াহর রহমতে আশা করি ভাল ফলনই হবে। প্রতি বছর পাট সৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে কিছু সময় ভয় লাগলেও মাঝে মাঝে সেই বৃষ্টি আমাদের জন্য আশির্বাদ হয়ে আসে। বৃষ্টিতে পাট ক্ষেতে পানির চাহিদা মিটায়। ফলে পাটের গাছগুলোও দ্রুত বেড়ে উঠে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি পাটের চারার জন্যও বেশ উপকারী। ইউনিয়নের কলাটুপি এলাকার কৃষক মোঃ আলমগীর বলেন- আমাদের এলাকার প্রধান সফল হচ্ছে ধান তার পর পাট। তবে বাণিজ্যক ভাবে পাট চাষ করেই আমরা স্বাবলম্বী। আমাদের ভাল থাকা নির্ভর করে পাট চাষের উপর। তাই আমরা সর্বোচ্চ শ্রমও দেই পাট ক্ষেতে। তীব্র গরম অপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে পড়ে থাকতে হয়। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে আমরা বিপাকে আছি। দিন প্রতি ৪০০ টাকার বিনিময়ও শ্রমিক পাওয়া যায় না এখানে। বাহির থেকে শ্রমিক কিনে এনে কাজ করতে হয়। আবার অনেক সময় আমাদের স্কুল-কলেজে পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পাট পরিচর্য়া কাজে নামতে হয়। তিনি আরও বলেন- উপজেলা কৃষি ও পাট অধিদপ্তর সব সময় আমাদের সহযোতিা করে থাকেন। একই ইউনিয়নের কৃষক শফিকুল বলেন- এবারও এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে পাটের ভাল ফলন হবে বলে আশা করছি। পাট ঘরে তোলার পর দামটা ভাল পেলেই আমরা খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা দৈনিক দৃষ্টিপাতকে বলেন, মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ভাল। রোগ ও পোকা-মাড়ক দমন ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য আন্ত: পরিচর্যা বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে মাঠ পর্যায় কাজ করছেন উপ-সহকারী কর্মকর্তাবৃন্দ। আশা করছি আশানুরূপ ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com