এফএনএস : সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ দিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। করোনা মহামারীর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে এখন উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে- চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, ডিম ও মাছ-মাংসের মতো প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্য। এ অবস্থায় জনজীবনে স্বস্তি দিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সরকার। করোনা মহামারী মোকাবেলার মতো এবার দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে সার, জ্বালানি তেল, বিদ্যুত ও গ্যাসে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ানো হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিনিয়োগ বাড়াতে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে নতুন বাজেটে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশের ইতিহাসে এবার রেকর্ড সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দের বাজেট দেয়া হচ্ছে। বাজেট সম্ভাব্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার। বিপুল অঙ্কের ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে অভ্যন্তীণ উৎস থেকে আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ থাকছে। তবে করহার না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানোর মতো বেশকিছু কর্মসূচী রাখা হয়েছে। করের বোঝা না চাপিয়েই একটি ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ৯ জুন মহান সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন। খবর সংশি−ষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, করোনা মহামারীর পর এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া, অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা, বন্যা, খরা ও অতিবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন কম হওয়াসহ নানা কারণে দেশে এখন সব ধরনের খাদ্যপণ্য উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে চাল, ডাল, আটা, ডিম, মাছ-মাংস, সবজি, দুধসহ মসলাপাতির দামে। অর্থাৎ করোনা মহামারীর পর মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি চাপে আছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। স্বল্প আয়ের পাশাপাশি নি¤œ ও মধ্যবিত্তরাও দ্রব্যমূল্যের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছেন। অনেকে টিকে থাকতে ভোগব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াতসহ অন্যান্য খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। ভোগ্যপণ্যের যাঁতাকলে সব শ্রেণীর মানুষের এখন নাভিশ্বাস! এ অবস্থায় করোনা মহামারী মোকাবেলার মতো ভোগ্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কর্মসূচী গ্রহণের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান ও কৌশল প্রণয়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি বাজেট-সংক্রান্ত এক বৈঠকে জানান, আগামী বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম যাতে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ভোজ্যতেলে তিন স্তরে ৩০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হয়েছে। কিন্তু এটা স্থায়ী কোন সমাধান নয়। অভ্যন্তীণভাবে যাতে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে সার, বিদ্যুত, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে ভর্তুকি বাড়ানো হবে। এ ছাড়া এসব পণ্য উৎপাদনে সরকারী-বেসরকারী খাতের সহজ শর্তের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার বিষয়টির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন ও নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছেন। ফলে আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। এ লক্ষ্যে ভর্তুকি বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে মূল্যস্ফীতি- এমন নতুন কৌশল আপাতত নেয়া হচ্ছে। কারণ, আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। গরু, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব পণ্যের দাম ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে বাজারে। অনেক খামার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা ও ভর্তুকি বাড়ানো হলে আবার উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছে সরকার। এ জন্য খাদ্যপণ্য, সার, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্যে ভর্তুকি প্রণোদনা বাড়িয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল নিয়েছে অর্থ বিভাগ। আর সেটি বাস্তবায়ন করতে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় আগামীতে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ প্রসঙ্গে ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনোমিস্ট নাজনীন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণকেই আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূলনীতি হিসেবে দেখা উচিত। কারণ, মূল্যস্ফীতি ও বিদেশী মুদ্রার মজুদ- এ বিষয়গুলো এখন ভোগাচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর সময় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। এবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়েছে। এই সমস্যা শুধু আমাদের একার নয়, ইউরোপ-আমেরিকার বাজারেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাড়তি পরিবহন খরচ। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে অবশ্যই মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে। এই মূল্যস্ফীতি শুধু গরিব মানুষের নিত্যপণ্যে নয়, শিল্প খাতের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির খরচ বাড়াবে। এতে যদি উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এ কারণে আগামী বাজেটে এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে আগামী বাজেটে ভর্তুকি : আগামী বাজেট সামনে রেখে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ানোর একটি কাঠামো দাঁড় করেছে অর্থ বিভাগ। সেখানে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে খাদ্যে ভর্তুকি ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আগামী বাজেটের ক্ষেত্রে ১ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৬ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কৃষিতে চলতি সংশোধিত বাজেটে প্রণোদনা (কৃষকের সারের জন্য) সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। আগামী বাজেটে আড়াই হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। বিদ্যুতে ভর্তুকি আগামী বাজেটে ১৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরে রয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাতে ভর্তুকি চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে ২ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ফলে এ খাতে নতুন বাজেটে বরাদ্দ থাকছে ১৭ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ মনে করছে, কৃষককে ৩২ টাকা মূল্যে সার সরবরাহ অব্যাহত রাখলে উৎপাদিত পণ্যের দাম খুব বেশি বাড়বে না। কারণ, বর্তমান বিশ্ববাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের মূল্য ৯৬ টাকা উঠেছে। এ জন্য কৃষকের সারের ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণেই মূল্যস্ফীতি ঘটছে। তাই গরিব মানুষকে কম দামে ওএমএসসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এসব খাদ্য সরবরাহ করা হবে, যাতে বাজার থেকে বেশি দামে কিনে খেতে না হয়। এ জন্য এ বছর খাদ্য খাতেও ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে। বিশ্ববাজারে এলএনজি গ্যাসের মূল্য বেড়েছে। বিদ্যুত উৎপাদনে এ গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। ফলে বেড়েছে বিদ্যুত উৎপাদন ব্যয়ও। কিন্তু সেভাবে বিদ্যুতের দাম এই মুহূর্তে সরকার না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে বিদ্যুতেও বড় ধরনের ভর্তুকি গুনতে হবে। সবচেয়ে বেশি মূল্য বেড়েছে জ্বালানি তেলে। নবেম্বরে জ্বালানি তেলের মূল্য এক দফা সমন্বয় করার পর নতুন করে আরও দাম বাড়ানো হচ্ছে না। কিন্তু বিশ্ববাজার থেকে বেশি মূল্যে কিনতে হচ্ছে জ্বালানি তেল। এ খাতেও ভর্তুকি দিয়ে নির্ধারিত মূল্যেই জ্বালানি তেল বিক্রি করবে সরকার। কারণ, এ মুহূর্তে এটি করা না হলে মূল্যস্ফীতি আরও এক দফা বাড়বে। এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সেটি হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কারণ, জ্বালানি খরচ বাড়লে সরাসরি তার প্রভাব পড়বে পণ্য উৎপাদনে। এর ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে জনজীবনে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে আমলারা বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। তবে যদি বাড়াতেই হয়, তাহলে বাজেটে ভর্তুকি বাড়িয়ে দাম সমন্বয় করা হোক। তিনি আরও জানান, করোনা মহামারীর পর এবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য ভর্তুকি ব্যয় বাড়াতে হবে। আর সেটি করা না হলে মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়ে যাবে। জানা গেছে, এমন পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে অর্থ বিভাগ। ধরে নেয়া হচ্ছে, নতুন কৌশল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। যদিও বিশ্ববাজারের প্রভাবে দেশের মূল্যস্ফীতির হার বর্তমান ৬ দশমিক ২২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হলে সংশোধিত বাজেটে এ হার বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও মূল্যস্ফীতির হার ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ সঙ্কটে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। এর পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। এতে মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। এতে হতদরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষ, শিক্ষিত বেকার ও সব শ্রেণীর ভোক্তাসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সঙ্কট থেকে বের হতে পারছেন না। এসব বিষয়কে সামনে রেখে মোটা দাগে আগামী বাজেটে সঙ্কট মোকাবেলা ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়কে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিনিয়োগ বাড়াতে এবারও অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হবে। এর পাশাপাশি বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়া হবে আগামী বাজেটে। প্রবাসীদের রেমিটেন্স বাড়াতে এ খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হতে পারে। আগামী বাজেটের অগ্রাধিকার খাতগুলো হচ্ছে- মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় কৌশল নির্ধারণ, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অধিক খাদ্য উৎপাদন এবং সারের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বৃদ্ধি, নিম্ন আয়ের মানুষের বিনা বা স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচী বাড়ানো হবে। সম্ভাব্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার ব্যয় ধরে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি চলতি বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটের আকার জিডিপির ১৫.৪ শতাংশ। তবে শেষ পর্যন্ত বাজেটের আকার কিছু বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।