এফএনএস বিদেশ : একটি বিল নিয়ে পার্লামেন্টে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা। বলা হচ্ছে, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট চেন শুই-বিয়ানের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির মামলায় সুবিধা দিতেই এই বিলটি তোলা হয়েছে। বিলটি উত্থাপনের তৃতীয় দিন সোমবার সকালে বিরোধী দল কুইমিনট্যাগের (কেএমটি) আইনপ্রণেতারা বিভিন্ন প্রতীক ও লাউড স্পিকার নিয়ে আইনসভার মঞ্চে হাজির হলে এ হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। আইনপ্রণেতারা ধাক্কাধাক্কি করেন এবং প্রতিপক্ষের প্রতি পানি ও কাগজপত্র ছুড়ে মারেন। এতে ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক পিপলস পার্টির (ডিপিপি) একজন আইনপ্রণেতা হাতে সামান্য আহত হন। এক ঘণ্টা পর বিশৃঙ্খলা থামলেও দুপুর পর্যন্ত কেএমটির আইনপ্রণেতারা আইনসভার মঞ্চের একটি অংশ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কেএমটির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কেএমটির আইনপ্রণেতারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবকে কাজে লাগিয়ে নির্বাহী ক্ষমতা দ্বারা ‘গোপন রাষ্ট্রীয় ব্যয়’কে অপরাধমুক্ত করার জন্য আইন করছেন। তারা বলছেন, এই বিলটি তাইওয়ানের প্রথম প্রেসিডেন্ট চেনকে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। চেন ২০০৮ সালে একটি তহবিল অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। চেন স্বাধীনতাপন্থী দল ডিপিপির নেতা ছিলেন। তিনি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছিল। যদিও পরে তা কমে ১৯ বছর করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা-প্যারোলে জেলমুক্ত আছেন। ক্ষমতা হারানোর আগ পর্যন্ত তিনি চীনপন্থী কেএমটিকে দমন করে রাখেন এবং কয়েক দশক ধরে দেশটি এক দলের অধীনে শাসন করেন। বিলটি নিয়ে এর আগেও সংঘর্ষ হয়েছিল। গত এপ্রিলে বিলটির খসড়া পার্লামেন্টে উঠলে কেএমটির আইনপ্রণেতারা নকল ব্যাংক নোট নিক্ষেপ করে এর প্রতিবাদ জানান এবং এর কার্যক্রম আটকে দেয়ার চেষ্টা করেন। সূত্র : আলজাজিরা