মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের একাধিক প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট হ্যাকড তাইওয়ানে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল রাজধানী তাইপে ইরানের হাতে ১২০০ কিমি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গাজায় অভিযান নয়, এবার দখলই লক্ষ্য: ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার ঘোষণা সিন্ধু নিয়ে দ্বন্দ্বে নতুন মোড়, ভারত বলছে ‘স্বাধীন’, পাকিস্তান বলছে ‘যুদ্ধ’ বিলাওয়ালের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ, বাড়ছে ভারত—পাকিস্তান উত্তেজনা ওয়াক্ফ মামলার শুনানি ১৫ মে, দায়িত্বে থাকবেন নতুন প্রধান বিচারপতি মাঠে না গিয়েই চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন লিভারপুল অধ্যায়ের ইতি টানলেন আরনল্ড

খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার ও পুন:নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী শেষে হস্তান্তর

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

ঘুর্নিঝড় আম্ফানে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার ও পুন:নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী শেষে হস্তান্তর অনুষ্ঠান সোমবার দুপুরে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ডাকবাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোল­া মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথির তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে সাইক্লোন আম্ফান। সাইক্লোন সিডরের পর এটি ছিলো দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও ঘন্টায় ১৫০ কি.মি গতি সম্পন্ন এই সাইক্লোন দেশের ২৬টি জেলায় তান্ডব চালায়। প্রায় ২৬ লাখ মানুষ বাস্তহারা হয় এবং এই সাইক্লোনে ২৬ জন মানুষ মারা যায়। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ১১টি জায়গায় প্রায় ১০.৫৩ কি.মি বাঁধ ভেঙ্গে দুই লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় বাঁধের পুন:নির্মাণকল্পে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার এর জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়। সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দিক নির্দেশনায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ শুরু করে। মহামারি করোনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণকে রক্ষায় এই পবিত্র দায়িত্ব চালিয়ে যায় এবং প্রকল্প সময় শেষ হবার আগেই কাজ শেষ করে। শত ঝুকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধ পুন:নির্মাণ এর কাজ শতভাগ সফলতার সাথে সর্ম্পূন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করে। অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক ৩ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী মাসুদ মোঃ মাহেনুর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণপশ্চমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী একেএম তাহমিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা চাকলা পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। উলে­খ্য ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২২ সালে শেষ হয়। নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় একশত ৪৫ কোটি টাকা।-তথ্য বিবরণী

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com