এফএনএস স্পোর্টস: প্রথমার্ধে যাও বা দক্ষিণ কোরিয়া কিছুটা লড়াই করলো। ব্রাজিল দুই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর স্বাগতিকরা এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু বিরতির পর আর কোনও প্রতিরোধই টেকেনি দ্য রেডস খ্যাত দলটির। বরং আক্রমণে চাপ বাড়িয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে। ফিফা প্রীতি ম্যাচটায় নেইমারের জোড়া লক্ষ্যভেদে ব্রাজিল জিতেছে ৫-১ গোলে। সিউলের ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দলটির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বিশ্বকাপে এশিয়ার সবচেয়ে সফল দল দক্ষিণ কোরিয়া। র্যাঙ্কিংয়ে যাদের অবস্থান ২৯তম। ২০০২ সালে এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে তারা খেলেছে সেমিফাইনালও। সেই দলটাই নিজেদের মাঠে বল দখলে পিছিয়ে শুরুতে গোল হজম করে বসে। ৭ মিনিটে ফ্রেডের পাসে রিচার্লিসন দারুণ ফ্লিকে লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া ৩১ মিনিটে সমতায় ফিরিয়েছিল। হোয়াং উই জো ডান পায়ের কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল কাঁপিয়েছেন। থিয়াগো সিলভা সঙ্গে থেকেও তাকে রুখতে পারেননি। তারপর থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছিল ব্রাজিল। ৩৭ মিনিটে সতীর্থের চিপ থেকে রিচার্লিসন হেড করলেও তা প্রতিহত করেন গোলকিপার। ফিরতি বলে নেওয়া শটও প্রতিহত হয়। তবে ৫ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ঠিকই এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। ভিএআর দেখে তাদের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে গোলটি করেন নেইমার। বিরতির পর আক্রমণের ঢেউ তোলে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণ হেনে স্বাগতিকদের রক্ষণ তছনছ করে ফেলে। গোলও আসতে থাকে একের পর এক। তারই ধারায় ৫৭ মিনিটে আসে আরেকটি পেনাল্টি। আলে সান্দ্রোকে বাধা দিলে পেনাল্টি থেকে সহজেই জাল কাঁপান নেইমার। ৭৪ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো।পরের মিনিটে বক্সের প্রান্ত থেকে রাফিনহার জোরালো শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে সমর্থকদের আফসোস বাড়ে। তবে ৮০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের হেড থেকে কুতিনহো ক্লিনিক্যাল ফিনিশিং করলে মুহূর্তেই আনন্দে নেচে উঠেন সমর্থকরা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুস দলের হয়ে পঞ্চম গোল করে দলের বড় জয়ে ভ‚মিকা রাখেন।