আজকের শিশুরা আগামী দিনের বাংলাদেশ। অর্থাৎ আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের খুদে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ। আর তাই শিশুদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। নেতৃত্বের বিকাশ, আত্মবিশ্বাস, পরমতসহিষ্ণুতা, সত্যবাদিতা, শিশুকাল থেকেই শিশুদের হৃদয়ঙ্গম হওয়া অপরিহার্য। ভবিষ্যত উজ্জ্বল, গতিশীল, উন্নত, শিক্ষিত, স্বনির্ভর জাতি গঠনের পাথেয় আমাদের আজকের শিশুরা। তাই শিশুদেরকে মানবিক সম্বলীত গণতান্ত্রিক চেতনার অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো নিশ্চিত জাতি গঠনের লক্ষে নিবেদিত। বর্তমান সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষিত জাতি গঠনের লক্ষে নিবেদিত। বর্তমান সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টিতেও কাজ করে চলেছে। দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যার লক্ষ্য আগামীর বাংলাদেশকে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া, গতকাল দেশ ব্যাপী অনুষ্ঠিত খুদে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন ছিল যেমন উৎসবমুখর অনুরুপ প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ। শিশু মনে এই নির্বাচন সদুর প্রসারী প্রভাব ফেলবে, একে অপরের প্রতি আন্তরিকতা প্রদর্শন এবং পরমত সহিষ্ণুতা সৃষ্টির যে প্রত্যয় প্রত্যক্ষ করেছে শিশুরা তা তাদের মনন মেধায় বিশেষ ভাবে প্রোথিত থাকবে। নির্বাচনে প্রার্থী এবং ভোটারদের সম্মিলন অর্থাৎ ভোট প্রার্থনার আহবান এবং সাড়া বাস্তবতার মুখোমুখি। একজন শিক্ষার্থী যাকে ভাল মনে করছে তাকে ভোট দিয়েছে এটাও এক ধরনের গণতান্ত্রীক চর্চা আবার প্রার্থী ভোটারকে নিজের পক্ষে আনার এবং ভোট নিজের বক্সে ভর্তির সব ধরনের প্রচেষ্টার পর যখন সফল হয় সেটাও তার প্রথম জীবনে অর্জন যা তার আজীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে। ভাল ব্যবহার আন্তরিকতা প্রদর্শন এর শিক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয় হতেই অর্জন হচ্ছে যা দেশ এবং জাতির আগামী দিনের কর্ণধরদের জন্য কম প্রাপ্তি নয়। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় ভোট হয়েছে উৎসবমুখর, শিশুদের এই ভোটে ছিল না কোন হাঙ্গামা গোলোযোগ বিরোধ, বিভেদ আর তাই শিশুদের থেকেও আমাদের যথার্থ শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্র নিশ্চিত হয়েছে।