এফএনএস: নরসিংদীর রায়পুরায় পিকআপে ট্রেনের ধাক্কায় আহত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- নেত্রকোনা পূর্বদলা উপজেলার কালিহর মাইজপাড়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৫), একই এলাকার আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে শাহিন (২৭) একই এলাকার ইব্রাহিম খান এর ছেলে আনিস খান (২৬) ও একই এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আনোয়ারুল (২৬)। আহতরা হলো- উপজেলার কালিহর মাইজপাড়া গ্রামের শাজাহান ও পিকআপচালক গোপালগঞ্জের সজিব। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। রায়পুার উপজেলার রাধাগঞ্জ বাজার থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের কাজ শেষে পিকআপযোগে নরসিংদীর দিকে ফিরছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। পিকআপটি আমিরগঞ্জের হাসনাবাদ রেলক্রসিংয়ে উঠলে সিলেটগামী ইন্টারসিটি জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ছিটকে রেল লাইনের পাশে গিয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই সুজাত ও আনোয়ারুল মারা যান। গুরুতর আহত চারজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিন ও ইব্রাহিম খান মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত শাজাহান বলেন, রায়পুরার রাধাগঞ্জ বাজারে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের কাজ শেষে ফিরছিলাম। এর মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। কীভাবে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রত্যক্ষদর্শী তারেক জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ। দৌড়ে কাছে এসে দেখি ট্রেনের ধাক্কায় পিকআপ রেললাইনের পাশে গিয়ে পড়ে। পিকআপের লোকজন মাটিতে পড়ে ছটফট করছিল। দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কাদির বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় পিকআপে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে এবং আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরা যায়। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশের এসআই ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, নিহতদের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।