পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের বাদুড়িয়া মোবারেক সানা ও উওর গড়ের আবাদ আরশাদ আলী মোড়লে বাড়ীর সামনে নৌর নদীর উপর ব্রিজটি। নৌর নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রায় দেড় যুগেও প্রস্তুত হয়নি এর এ্যাপ্রোচ সড়ক। দু’মাথার অপরিকল্পিত এ্যাপ্রোচ ও তার ইটের সোলিং উঠে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতু থেকে সড়কের অসম ব্যবধানে নদী পারাপারের মাধ্যমটি পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে এবং প্রায় সময় সেখান থেকে ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই জনভোগান্তি লাঘবে স্থানীয়রা এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিস্তীর্ণ এলাকার বৃহৎ সংখ্যক মানুষের নদী পারাপারের সুবিধার্থে উপজেলার অবহেলিত জনপদ চাঁদখালীর নৌর নদীর উপর প্রায় দেড় যুগ পূর্বে সেতুটি নির্মিত হয়। তবে শুরুতেই সেতুর দু’পারের অপরিকল্পিত এ্যাপ্রোচ ও তার ইটের সোলিং অল্প দিনেই উঠে যাওয়ায় শুরু হয় ভোগান্তি। সু-উচ্চ একেবারে খাঁড়া সেতুর উপর প্রতি মূহুর্তেই ঝুঁকি নিয়ে উঠা-নামা করতে হয়। ইতোমধ্যে সেতুর নিরাপত্তা গার্ডারের রডে মরিচা পড়ে ভাঙ্গন ধরেছে। অন্যদিকে এ্যাপ্রোচের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভোগান্তির পাশাপাশি ঝুঁকি বেড়েছে স্থানীয়দের। প্রতি সংসদ, উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা সেতুর সংষ্কারে কথা দিলেও ভোটের পর কথা রাখেনি কেউ হতাশায় সৃষ্ট ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া ভূক্তভোগী স্থানীয়দের। কয়েক বছর আগে সেতুতে উঠা-নামার জন্য সড়ক সংষ্কারে সরকারি বরাদ্দ হলেও বাস্তবায়ন হয়নি এমন অভিযোগ অনেকের। উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের নৌর নদীর বাদুড়িয়ার মোবারেক সানা, উত্তর গড়ের আবাদ আরশাদ আলী মোড়লে বাড়ীর সামনে বরাবর সেতুটির অবস্থান। প্রতিদিন শত শত মানুষ, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, নসিমন-করিমন, অটোগাড়ী চলাচল করে সেতুটি দিয়ে। তবে এমন বেহাল অবস্থায় সেতুপারে প্রতিদিন ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটেইে চলেছে। উত্তর গড়ের আবাদের বাসিন্দা কবিরুলসহ স্থানীয়রা জানান, সেতু পারাপারে কম পথ, সময় ও গাড়ী ভাড়া বাঁচাতে শুষ্ক মৌসুমে নির্মাণ সামগ্রী থেকে শুরু করে মালামালসহ পণ্য পরিবহনের সুবিধায় তাদের একমাত্র ভরসা এপথটি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ৪/৫ কি:মি: পথ পাড়ি দিয়ে চৌমুহনী বাজার ঘুরে বেশী ভাড়ায় পণ্যপবিহন করতে হচ্ছে। স্থানীয় নসিমন চালক মুরছালিন সরদার বলেন, নৌর নদীর ব্রীজটির সমস্যায় তাকে একাধিক ব্রীজ পার হয়ে গন্তব্যে পৌছাতে হয়। শুধু খালি নসিমন পার করতেই ২/৩ জন লোকের সহায়তা নিতে হয়। এমনকি বৃষ্টির সময় তাকে গাড়িটি বাড়ী পর্যন্ত পৌছানোর অবস্থা না থাকায় বাইরে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখতে হয়। স্থানীয় এম এ হাশেম বলেন, তিনিসহ স্থানীয়রা একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেও এ্যাপ্রোচ সংষ্কার সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ এলাকাবাসী আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটির সংষ্কারে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান,নৌর নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের এ্যাপ্রোচ সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। আমি আজকে লোক পাঠিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।