প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শনিবার সকালে খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ। এর সাথেই রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের অংশীদার বিভিন্ন বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক হবে। তিনি বলেন, সকলের মতামতের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ের সমস্যা চিহ্নিত করা গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ শহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ এবং সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ মোঃ আতিকুজ্জামান। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ আব্দুর রশিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গভর্নেস ইনোভেশন ইউনিটের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম এবং খুলনা এডমিনিস্ট্রোটিভ কনভেশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। পলী সঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা শীর্ষক প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ১০টি গ্র“পে ভাগ হয়ে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ তুলে ধরেন। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার জেলা প্রশাসক, বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।-তথ্য বিবরণী