এফএনএস : নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের কারণে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। রাজধানীতে চাকরিজীবী বা সীমিত আয়ের মানুষেরা খরচ পোষাতে আগের তুলনায় অনেকে অর্ধেক পরিমাণে পণ্য কিনছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজন চাকরি করেন, এমন পরিবারেও চলছে টানাটানি। শনিবার কারওয়ান বাজারে তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা বেসরকারী চাকরিজীবী রফিকুল আলম। পণ্যের দাম শুনে তাঁর হতাশা বেড়ে গেল। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। সামান্য বেতনের টাকায় সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই আগের তুলনায় এখন বাজার অনেকটা কমিয়ে দিয়ে অর্ধেকে নিয়ে এসেছি। তা না হলে কোনোভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছি না।’ দেখা গেছে, বাজার করতে আসা মানুষজনের মুখে একটাই কথা, ‘জিনিসপত্রের এত দাম’। আরেকজন চাকরিজীবী শরিফুল ইসলম বলেন, সপ্তাহে তিন হাজার টাকার মধ্যে যে পণ্য কিনতেন, সেই পণ্য এখন কিনতে লাগছে সাড়ে চার হাজার টাকা। দেড় হাজার টাকা বেশি। এ অবস্থায় ওই আগের (তিন হাজার) টাকার মধ্যেই পণ্য কিনতে হচ্ছে। কিন্তু পণ্য কেনার পরিমাণ অনেক কমে গেল। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন। তারপরও তাঁদের এ অবস্থা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো ছোট চাকরি করা লোকজনের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। কী মাছ কিনব, তা সিদ্ধান্ত নিতেই পারছি না। এক সপ্তাহ আগে বাজার করেছি যে টাকায়, সেই টাকায় এখন আর বাজার হচ্ছে না।’ মুদিদোকান মালিক বলেন, যে ক্রেতা চিনি পাঁচ কেজি কিনেছিলেন, এখন তিনি দুই কেজি কিনছেন। ওই ক্রেতা পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল কমিয়ে দুই লিটার কিনছেন। প্রতিটি পণ্যই কম কম করে কিনছেন ক্রেতারা। ক্রেতা ফরমান আলী বলেন, ‘এই কয়েক দিন আগেও চিনি পাঁচ কেজি, তেল পাঁচ লিটার ও ডাল তিন কেজি কিনতাম। এখন এসব পণ্য অর্ধেক কিনছি। উপায় না পেয়ে শেষমেশ সংসারের খরচ কমিয়ে দিয়েছি।’