শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুছার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন ইসরাইল হামাসের বিশভাগ সক্ষমতা ও ধ্বংস করতে পারেনি শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক গনসচেতনামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে অসহায় দুস্থ ও হতদরিদ্র নারী কর্মীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ক্রেতা সাধারণ জিম্মি ব্যবসায়ীদের হাতে———– কপিলমুনিতে গলাকাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয় বড়দলে উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে সুরক্ষা সেবা প্রদান আশাশুনি তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির প্রার্থনা করে ইসতেসকার নামাজ আদায় আশাশুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজের রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আশাশুনিতে বৃষ্টি জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় পাটকেলঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

আশাশুনির উপক‚লবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা বাঁধ পরিদর্শনে পাউবো’র কর্মকর্তা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

প্রতাপনগর (আশাশুনি) প্রতিনিধি \ সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার ভোর রাত থেকে আশাশুনি উপজেলায় হালকা ঝড়ো হাওয়া ও একটানা বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। নদীর পানিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বড় ঢেউ দেখা যাচ্ছে। উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা ও আশাশুনি সদরের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা বাঁধ নিয়ে এলাকার মানুষের মনে শঙ্কা বিরাজ করছে। এছাড়া বুধহাটা, বড়দল ও কুল্যা ইউনিয়নের কিছু স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। রবিবার সকালে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ তালুকদার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ, সোনাতনকাটি, শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চ ঘাটের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে, মাদার বাড়িয়া, ঝাপালি, বন্যতলা ক্লোজারের পশ্চিম অংশের অবস্থা সরেজমিন দেখতে যান। এসব স্থানে বাঁধের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁধ রক্ষায় জরুরী কাজ হবে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, পাউবো-১ ও ২ এর আওতায় ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূল জুড়ে থাকা ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। পাউবো-২ এর আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪০০ কিলোমটিার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। এবং পাউবো-১ এর আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৪২ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া, শ্রীপুর, রুইয়ার বিল, সুভদ্রাকাটি, সনাতন কাটি, হরিশখালি, বন্যা তলা সহ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির পেয়েছে, যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙ্গে ইউনিয়ন আবারও তলিয়ে যেতে পারে। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী জানান, সরকারি ভাবে বেড়ী বাঁধ রক্ষার জন্য কাজ করা হলেও এখনো কিছু স্থানে খুবই ঝুঁকি বিরাজ করছে। আমরা বারবার কাজ এগিয়ে নিতে তাগাদা দিলেও সম্ভব হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে চলতি বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমে পুনরায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নানা শঙ্কায় ইউনিয়নের ৩৬ হাজার মানুষ দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com