বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
‘মে দিবস’ শ্রমিকদের মর্যাদা ব্যতীত দেশ-জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয় মার্কিন রনতরিতে হুতিদের ড্রোন হামলা আগুন ঝরা তাপদাহ নানান ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে মসলা যুক্ত ভারী খাবার গ্রহণ না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের ডাঃ শরিফুল ইসলাম সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেলেন জিরো পয়েন্ট রুপালী ব্যাংকর নতুন শাখা উদ্বোধন ৮ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফতেপুর ইয়ংস্টার ক্লাব চ্যাম্পিয়ন সাতক্ষীরায় বিআরটিএ মোবাইল কোর্ট অব্যাহত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে তাপ প্রবাহজনিত পীড়ন প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় করণীয় বিষয়ে জনসচেতনা সভা অনুষ্ঠিত

উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪

আবু ইদ্রিস শ্যামনগর থেকে ॥ বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মৌলিক উপাদান গুলোর মধ্যে পানি অন্যতম। এ মৌলিক উপাদান সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত শ্যামনগর উপকূলীয় উপজেলার মানুষ। স্থানীয় পুকুর, সংরক্ষিত পুকুর, দিঘী – পিএসএফ মাধ্যমে যে পানি সংগ্রহ করা হয় তা আদৌ খাওয়ার উপযোগী নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের অধীনে যেসব গভীর নল কূপগুলো স্থাপন করা হয়েছে তার অধিকাংশই বন্ধ। কোন কোন গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করলেও তা লবণপানি খাওয়ার উপযোগী নয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই গভীর নলকূপগুলো স্থাপন করা হয়েছে যত্রতত্র। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারিহীনতার অভাব ও আনাড়ি চিন্তা চেতনার ফসল বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের জনগণ। অধিকাংশ নলকূপ গুলো বন্ধ ও অকেজ হয়ে পড়ে আছে। এ প্রতিবেদকের তথ্য অনুসন্ধানীতে তথ্য মিলেছে অকেজ গভীর নলকূপের উপরে সযত্নে সাজিয়ে রাখা খড়কুটার স্তুপের। উপজেলার কৈখালী, রমজান নগর, গাবুরা, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন বাসি সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। সরজমিনে দেখা গেছে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের মানুষের আধুনিক জীবনযাপন তো দূরের কথা সুপ্রিয় পানির তীব্র সংকট। তার উপরে অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থায় দুর্বিসহ জীবনে সুপেয় পানি সংগ্রহ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। জীবনের জন্য পানির বিকল্প কিছু নেই। এই সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য দুর দুরন্ত থেকে ছুটে আসতে হয় একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। এমন একটি জায়গার নাম কাঁঠামারী। এই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ পুকুর হতে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মুসলিম, হিন্দু সব শ্রেণীর মানুষ সুপেয় পানি সংগ্রহ করে। পানি কতটুকু নিরাপদ, বিশুদ্ধ তা দেখার সময় কই। বাঁচতে গেলে অবশ্যই পানি সংগ্রহ করতে হবে আর এই পানি খেতেই হবে। এই পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা। পানির জন্য পোহাতে হচ্ছে বর্ণনাতীত কষ্ট। এ মসজিদ পুকুরে পিএসএফ সিস্টেম এর মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করা হয়। পি এস এফ ছাকন প্রক্রিয়ায় ছোট ছোট পাথর, খোয়া আর বালুর সংমিশ্রণে পানি পরিশোধন করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র পানির ঘোলা অংশটুকু অর্থাৎ পানিতে কাঁদার দ্রবীভূত কিছু অংশ ছাকা সম্ভব। নামমাত্র এই বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে উপকূলীয় এ এলাকার মানুষের হাহাকার। তারপরে পানিতে মিলছে দুর্গন্ধ। পবিত্র মাহে রমজান মাসে মানুষ এই পানি সংগ্রহ করে পান করছে। আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম। সূর্যের প্রখর রোদে এই পুকুরের পানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের পর্যাপ্ত চাহিদার কারণে পানি সংকটে পড়তে হয়। পুকুরটি খননসহ বৃদ্ধি করতে পারলে মানুষের জীবন বাঁচানো অপরিহার্য মৌলিক উপাদান পানির সংকট কিছুটা কমতো। উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে এলাকার সচেতন মহল স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গভীর নলকূপ স্থাপনের বিষয়টি মানসম্মত জায়গায় নির্ধারণ করলে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের অপরিহার্য মৌলিক উপাদান সুপেয় পানির সংকট কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com