সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে ॥ দেশে ৬২ বছরের মধ্যে চলতি বছরে সর্বোচ্চ লবন উৎপাদন হলেও খুলনায় তার কোন প্রভাব পড়েনি। ২০১৬সালে থেকে কাঁচামাল সংকটের কারনে খুলনায় ৩৬ টি লবন ফাক্টরীর মধ্য ৩০ ফাক্টরী বন্ধ হয়ে যায়। বাজারে বেড়ে যায় লবনের দাম, এমনকি ধারাবাহিক ভাবে বাড়তে শুরু করে। ভারতে লবনের দাম কম থাকায় চোরাই পথে লবন আশা শুরু হলো খুলনা অঞ্চলে। মুলত লবনাক্ত এলাকা কক্সবাজার লবন উৎপাদনের সর্ববৃহৎ ঘাটি। সেখান থেকে কাঁচামাল (লবনমাটি) খুলনায় এনে রিপ্লাই করা হয় মেসিনের সাহায্যে। তাতে ক্যারিং খরচ ও উৎপাদন খরচ বর্তমান বেড়ে যাওয়ায় লাভজনক স্থানে নেই খুলনার লবন ফাক্টরীর মালিকরা। কক্সবাজার লবন খামারী ও উৎপাদন কারীদের সরকার ঋন সয়াতার মাধ্যমে উৎসাহিত করেছে। যার ফলে ২০২২ থেকে লবনের উৎপাদন বেড়েই চলেছে। বর্তমান চলতি বছরে ১৮ দশমিক ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন লবন উৎপাদন হয়েছে। সুত্র যানায় আমাদের দেশে লবনের চাহিদা আছে ২২ লক্ষ মেট্রিক টন বিসিকের মাঠ পর্যায়ের জরিপে এখনো ৩ লক্ষ মেট্রিক টন লবন ঘাটতি আছে, আগামী বছর আসতেই ২০ লক্ষ উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন। খলনা অঞ্চলে ১০ টির কম লবন ফাক্টরী চালু আছে, উৎপাদনের প্রভাব না পড়ার কারনে লবনের দাম খুব বেশি। এ বিষয় লবন মিল মালিক সমিতির উপদেষ্টা ও মধুমতি সল্ট এর ব্যাবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন এ বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারনে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি জের সভাপতি যানায়। এক সময়ে খুলনা অঞ্চলে লবন মিলের ব্যাবসা ছিল জমজমাট, অবৈধ ভাবে ভারত থেকে লবন আসার কারনে এব্যাবসায় ধস নেমেছে। অধিকাংশ ব্যাবসায়ী সব গুটিয়ে সর্ব সান্ত হয়ে পড়েছে। এ শিল্প কে বাচাতে হলে ভারতীয় লবন আশা বন্ধ করতে হবে। ক্ষতি গ্রহস্ত ব্যাবসায়ীদের ঋন দিয়ে পুর্নবাসন করতে হবে।