বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরার মসজিদ গুলোতে জুম্মা নামাজে বৃষ্টি কামনায় দোয়া
দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ভাঙ্গা তাপদাহ ভাঙলো। প্রায় এক মাস যাবৎ চলছে ভয়াবহ তাপদাহ। আবহাওয়াবিদরা পরিসংখ্যক উল্লেখ করে বলেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন বিপর্যয়কর তাপ এই প্রথম। গতকাল দেশর সর্বত্র তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়। দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় সুন্দরবন বেষ্টিত সাতক্ষীরা জেলাতেও তাপমাত্রার হিংস্রতা চলছে তো চলছেই। গতকাল জেলার মসজিদ গুলোতে শুক্রবারের জুম্মার নামাজে বৃষ্টিপাত কামনায় দোয়া অনুুষ্ঠিত হয়েছে। অসর্য্যকর, অসহনীয় তাপমাত্রায় কেবল জনজীবন বিপর্যয় কর পরিস্থিতির অবতরনা ঘটিয়েছে তা নয় উৎপাদন ব্যবস্থাতেও ছন্দ পতন ঘটেছে। সর্বত্র হাহাকার, কাজের মানুষ কাজে যেতে পারছে না, হতদরিদ্র দিন আনাদিন খাওয়া মানুষরা চরম আর্থিক সংকটে পড়ে দিনাতিপাত করছে। মানুষের মাঝে স্বস্তি নেই। প্রখর রৌদ্রতাপে ঘর হতে বের হওয়ার সুযোগ নেই। চরম অস্বস্তিকর আর বিপর্যয়কর পরিস্থিতির এই সময় গুলো সাতক্ষীরার উৎপাদন ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতিতেও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাপদাহে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল। সবজি বাগান সংকুচিত হয়ে হলূদাভাব হচ্ছে। সেচ যন্ত্রে যথাযথ ও কাঙ্খিত পানি উঠছে না, পানির লেয়ার নিচে নেমে পড়ায় সবজি ক্ষেত গুলো চাহিদা মোতাবেক পানি হতে বঞ্চিত হচ্ছে। সাতক্ষীরার মৎস্য শিল্পে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত চিংড়ী শিল্প ধ্বংসের মুখে। অতি রৌদ্র আর তাপদাহের কল্যানে চিংড়ী ঘের গুলোতে পানি থাকছেনা। চো চো করে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। রপ্তানী মুখি চিংড়ী বৃদ্ধিতে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে। অন্যান্য বছর বর্তমান সময় উৎপাদিত চিংড়ীর ভরা মৌসুম, ঘের ব্যবসায়ীরা চিংড়ী বাজার জাতকরন করতো কিন্তু অতি তাপদাহের কারনে চিংড়ী উৎপাদিত হচ্ছে না এবং আকৃতিতে ছোট থাকায় বাজারজাত করনের উপযুক্ত না হওয়ায় উৎপাদন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে এখানেই শেষ নয় তাপদাহের বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কল্যানে চিংড়ীতে মড়ক শুরু হয়েছে। চিংড়ীর পাশাপাশি জলাশয়, পুকুর ও মিষ্টি পানির সাদা প্রজাতির মাছ চাষেও ব্যাঘাত ঘটছে। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ও অতি তাপে সাদা প্রজাতির মাছে মড়ক শুরু হয়েছে। সাদামাছ ব্যবসায়ী ও চাষিরা জানান গরমের কল্যানে পানিতে অক্সিজেনের পরিমান হ্রাস পাওয়ায় সাদা মাছ মরছে। পুকুর গুলোর পানি হাটুর হাতে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।
