দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ঃ সাতক্ষীরার ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে মিশে একাকার হওয়া আর অর্থনৈতিক উন্নয়ন শিল্প সম্ভারের হাতছানি দেওয়া সুন্দরবন বস্ত্রকল আজ সোনালী অতীত। সুন্দরবন বস্ত্র কলকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা যে উন্নয়নের সোপানে প্রবাহমান ছিল ২০০৭ সালে তার যবনিকাপাত ঘটে। সুরম্য বিল্ডিং গুলো যেন মহাকালের নিরব স্বাক্ষী হয়ে সাতক্ষীরাকে অভিশাপ দিচ্ছে। তৈরী শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং তৈরী হবে প্রতিষ্ঠান যোজন যোজন ব্যবধান আর তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর সাতক্ষীরার বিশ লক্ষাধীক মানুষের আকুতি পুনরায় চালু করা হোক সুন্দরবন বস্ত্র কলের উৎপাদন। বর্তমানে মিলটির সার্বিক দেখাশুনার জন্য বিশজন কর্মরত আছেন। আলস সময় কাটানো আর স্থাপনা হতে, অভ্যন্তরের উপার্জন দেখা শুনাই তাদের কাজ। মিলটি সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা মেলে মিল ইনচার্জ মোঃ শফিউল বাসারের সাথে বর্তমানে অচল মিলটির রক্ষনাবেক্ষনের খরচ অভ্যন্তরের বাড়ীভাড়া, পুকুর থেকে উপার্জন অপেক্ষা বেশী গাছ গাছালিতে পরিপূর্ণ ছায়াঘেরা, পাখি ডাকা প্রতিষ্ঠানটির অনন্য উপার্জন সম্পর্কে অবশ্য জানা যাইনি। তিনি জানান বর্তমান বাৎসরিক আয় সাড়ে চারলক্ষ এবং ব্যয় পাঁচলক্ষ টাকা, হিসেবে সহজেই অনুমেয় যে উৎপাদনহীন মিলেও ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বিশজন দায়িত্বপালন কারীর বেতন প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, সাতক্ষীরার চার টি সংশদীয় আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যরা সুন্দরবন বস্ত্রকল পুনরায় উৎপাদনে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন এমন প্রত্যাশা জনগোষ্ঠীর। সাতক্ষীরার শত সহস্র শ্রমজীবী পরিবারের জীবন জীবীকার অবলম্বন ছিল বস্ত্রকলটি। এখানেই শেষ নয় মিলটির উৎপাদন অব্যাহত থাকলে সাতক্ষীরার শ্রমিক শ্রেনি সৃষ্টি হতে, হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। যেমনটি মিলটি চালু অবস্থায় ছিল। সাতক্ষীরা শহরের বিস্তৃত ঘটতো, উন্নয়নের ক্ষেত্র বিনির্মান হতো। সাতক্ষীরার বাসির দাবী ক্রমান্বয়ে গন দাবীতে পরিনত হতে চলেছে মিলটিতে উৎপাদনে নিতে। মিলটি কি চিরতরে হারিয়ে যাবে? নিরব, নিথর, প্রাণহীন হয়ে থাকবে? এই সম্ভাবনাময়ের সময়ে শিল্পবান্ধব উন্নয়ন কামী সরকার নিশ্চই সুন্দরবন বস্ত্রকলকে উৎপাদনে নিবেন।