শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুছার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন ইসরাইল হামাসের বিশভাগ সক্ষমতা ও ধ্বংস করতে পারেনি শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক গনসচেতনামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে অসহায় দুস্থ ও হতদরিদ্র নারী কর্মীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ক্রেতা সাধারণ জিম্মি ব্যবসায়ীদের হাতে———– কপিলমুনিতে গলাকাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয় বড়দলে উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে সুরক্ষা সেবা প্রদান আশাশুনি তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির প্রার্থনা করে ইসতেসকার নামাজ আদায় আশাশুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজের রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আশাশুনিতে বৃষ্টি জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় পাটকেলঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

৫০ হাজার পাউন্ড জিতলেন পাইপার

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

এফএনএস স্পোর্টস: ২০ বছর আগে লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল যার, সেই জেমস অ্যান্ডারসনের হাত থেকে একই মাঠে টেস্ট ক্যাপ পেলেন জশ টং। একদিন তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলবেন, বিশ্বাসটা ১৪ বছর আগেই ছিল একজনের, নাম তার টিপ পাইপার। সেই বিশ্বাসের জোরেই তিনি ধরেছিলেন বাজি। টংয়ের অভিষেকের পর পাইপার তাই জিতে গেলেন বাজির ৫০ হাজার পাউন্ড! পাইপার যখন ১০০ পাউন্ড বাজি রেখেছিলেন, টংয়ের বয়স ছিল তখন কেবল ১১ বছর। বাজির দর ছিল ৫০০-১। গতকাল বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় টংয়ের। পাইপার পেয়ে যাচ্ছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। বিবিসি স্পোর্টকে পাইপার বলেছেন, “আমি এত বছর ধরে বাজির ¯িøপটি একটি আলমারিতে রেখে দিয়েছি। শুধু মনে মনে ভেবেছি, ‘এটা অবশ্যই ১০০ পাউন্ডের মূল্য হবে’। যদি সে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে না পারে, তাও সে আমাদের গর্বিত করবে। এটা তার জন্য টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার একটা বোনাস মাত্র।” অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, টংয়ের ৬ বছর বয়সেই বাজি রাখতে চেয়েছিলেন পাইপার। কিন্তু তখন তিনি এমন কোনো জুয়াড়িকে খুঁজে পাননি, যিনি বাজি রাখবেন। ৫৬ বছর বয়সী পাইপার গত শতকের নম্বইয়ের দশকে রেডডিচ ক্রিকেট ক্লাবে টংয়ের বাবা ফিলের সতীর্থ ছিলেন। ছোটবেলা থেকে টংকে ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হতো, তার ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় অবশ্য লেগ স্পিনার হিসেবে। “আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো ছোট্ট শিশুটি লেগ-স্পিন, গুগলি এবং টপ-স্পিন বোলিং করত। শেন ওয়ার্নের মতো ছিল।” টংয়ের যখন ৬ বছর বয়স, তার পরিবার রেডডিচ থেকে চলে যায়। তবে তার ওপর নজর রাখেন পাইপার। উস্টারশায়ার একাডেমিতে পেস বোলারে পরিণত হন টং। পাইপার সরাসরি জুয়া ফার্ম কোরালের প্রধান কার্যালয়ে বাজি রেখেছিলেন। তার এই বাজি জেতার সম্ভাবনা গত গ্রীষ্মে প্রায় শেষ হতে বসেছিল। বারবার কাঁধের চোটের কারণে ওই সময়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা বিবেচনা করেছিলেন টং। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের জন্য শুরুতে ঘোষিত দলে অবশ্য ছিলেন না টং। জেমস অ্যান্ডারসন ও অলিভার রবিনসনের চোট সমস্যার কারণে বিকল্প ভাবনায় দলে ডাকা হয় তাকে। ৪৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২৫ বছর বয়সে তিনি পেয়ে গেলেন টেস্ট ক্যাপ। এ দিন লর্ডসে থাকার কথা পাইপারের। বাজিতে জেতা অর্থের কিছুটা তিনি ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছেন টংয়ের পুরো পরিবারকে ডিনারে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com