দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজায় যুদ্ধ বিরতি আলোচনা ভেস্তে গেছে আর এজন্য ফিলিস্তিনি মুক্তি সংসথা সংগঠন হামাস দখলদার ইসরাইলিকে দাবী করলো। দখলদার ইসরাইলের দখলদারিত্ব আর আগ্রাসন মূলক মনোভাবের কারনে দীর্ঘ চারদনি ব্যাপী আলোচনার কোন ধরনের ফলাফল ব্যতিত অর্থাৎ যুদ্ধ বিরতিতে না পৌছে ভেঙ্গে গেলো আলোচনা সেই সাথে যুদ্ধ বিরতি আলোর মুখ দেখলো না। বৃহস্পতিবার মিশরের কায়রা ছেড়েছে হামাস প্রতিনিধিদল। কাতার ও সিমরের মধ্যস্থতায় কায়রোতে বসেছিল যুদ্ধবিরতির পক্ষগুলো। উল্লেখ্য গত চারদনি মিশরের রাজধানী কারোতে যুদ্ধ বিরতির মধ্যস্থতাকারী মিশর,কায়রোর উপস্থিতিতে হামাস,ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বৈঠক বসে। উক্তবৈঠকে হামাসেরদাবী এবং প্রত্যাশা ছিল গাজা হতে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি বিনিময়ে তাদের হাতে থাকা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানায় ইসরাইলের প্রস্তাব ছিল হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের নাম প্রকাশ করে এবিষয়ে হামাসেরপক্ষ হতে বলা হয় জিম্মীরা গাজার যুদ্ধ ক্ষেত্রের বিভিন্ন এলাকা হতে অবস্থান করায় যুদ্ধ বিরতি ব্যতিত তাদের নাম ্রকাশ সম্ভব নয়। অন্যদিকে ইসরাইলি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধ বিরতির বিনিময়ে তার জিম্মিদের মুক্তির বিষয়উত্থাপন করে। শেষ মেষ কোন ধরনের ফলাফল ছাড়াই শেষ হলো যুদ্ধ বিরতির আলোচনা।মিশরের কায়রোর গত চারদিন ব্যপী যুদ্ধ ুিবরতির আলোচনা শুরুর দিন গুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় বিমান হামলার হত্যা, স্থল অভিযানে গ্রেফতার অব্যাহত রাখে। তাদেরমূল লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদেরকে নিশিহ্ন করা। গতকালও রাফা শহরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপক বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব নেতৃত্ব রাফা অভিযান এবং রাফায় হত্যাকান্ডকে চরম মানবতা বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িতকরে বলেছে অবিলম্বে রাফা অভিযান বন্দ করতেহবে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এতটুকু দুর্ধর্ষ এবং অমানবিক হত্যাকারী তারা কোন অবস্থাতেই হত্যাকান্ড পরিচালনা হতে বিরত থাকছে না। রাফা শহরকে দখলদার বাহিনী মৃত্যুপুরিতে পরিনত করেছে। উত্তর গাজা এমনিতেই শ্মশানে এবং মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে এরই মধ্যে সেখানে চলছে গণহত্যা, উত্তর গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী প্রানের অস্তিত্ব রাখতে চাইছে না আর তাই প্রতিমুহুর্তে সেখানে নির্মম হত্যা পরিচালনা করছে। খান ইউনিসের ঘরে ঘরে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এমনিতেই গত একমাস যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী খান ইউনিসে বিমান হামলা ও ওস্থল অভিযান পরিচালনা করে ব্যাপক হত্যাকান্ড ও ধ্বংস্তুপে পরিনত করেছে। দৃশ্যতঃ খান্খান উিনিসে নিয়ে অধিবাসীদের সিংহ ভাগ অবস্থান ত্যাগ করেছে বাড়ী ঘর, সহায় সম্পদ রেখে তারা প্রাণের মায়ায় অন্যত্র চলে গেছে ওরই মধ্যে দখলদার বাহিনী খান ইউনিসে নতুন ভাবে হামলা চালাচেছ এবং শুন্য ঘরবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করছে। খান ইউনিসের যে এলাকাতে ফিলিস্তিনিদের পাচ্ছে সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করছে। দৃশ্যতঃ দখলদার বাহিনী পুতিন ফিলিস্তিনিকে তাদের প্রতিপক্ষ ভাবছে এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য এক জাহাজ ভর্তি খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে তুরস্ক। উল্লেখ্য তুরস্ক বরাবরই ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশেষ ভাবে আস্থা ও সহনাভূতিশীল। দেবহাটার প্রেসিডেন্ট তাইয়েফ এরদোগান ইতিমধ্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে মধ্য প্রাচ্যের কসাই হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে তুরস্কের পাঠানো খাদ্য শষ্য মিশরে ত্রান পৌছাবে এবং মিশরের মধ্যস্থতায় উক্তখাদ্য সামগ্রী গাজা উপত্যকায় প্রেরন করা হবে। তুরস্কের পাঠানো খাবার রোজার সময় গুলোতে ফিলিস্তিনিদের খাদ্য অভাব কিছুটা মেটাবে। গত কয়েকদিন যাবৎ ক্ষুধার যন্ত্রণায় ফিলিস্তিনিরা মৃুত্যু বরন করছে এমন খবর বর্তমান বিশ্বমিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত পাঁচ মাসে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী প্রায় একুত্রিশ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যার মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যা অধিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ঘোষনা দিয়েছে যে তারা ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে হুতি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করবে,গাজা বর্তমানে দুর্ভিক্ষ চলার পাশাপাশি কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা ফিলিীস্তনিরা কারন অধিকাংশ হাসপাতাল ধ্বংস করা হয়েছে এবং চিকিৎসকরা ধ্বংস হওয়া হাসপাতালে আসতে জীবন হানীর আশঙ্কা করছে।