দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার হত্যাকারী ইসরাইলি বাহিনী প্রতিনিয়ত নিরিহ ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করলে ও হত্যাকারীরা গাজা উপত্যকায় কোন ভাবেই নিরাপদ নয়, ইসরাইলি বাহিনী ও প্রতিদিন হামলার মুখে পড়ছে এবং হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। খান ইউনিসে এক সাথে চৌদ্দ ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার পর এবার দক্ষিন গাজায় হামাসের প্রতিরোধ হামলা তিন ইসরাইীল সেনা নিহত হয়েছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে শনিবার পশ্চিম গাজায় দখলদার বাহিনী হামাস স্থানে যখন অভিযান পরিচালনা করছিল তখন হামাস যোদ্ধাদের প্রতিরোধ হামলায় তিন হত্যাকারী সেনা নিহত হয়। নিহত তিন ইসরাইলি সেনার নাম ডোলেভ মলকা (১৯) আফিক টেরি (১৯) ও ইতজাক (২০) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের তিন সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে দক্ষিন গাজায় হামাস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার সময়ে একটি দ্বিতল ভবনে ইসরাইলি সেনারা যখন অবস্থান করে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো তখন হামাস সন্ত্রাসীলা পাল্টা আক্রমন পরিচালনা করলে ঘটনাস্থলে তিন সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময়ে কয়েকজন সেনা আহত হয়। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের পক্ষ হতে মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত তৎপর ও সোচ্চার তারা কোন অবস্থাতেই দখলদার বাহিনেিক ছাড় দিতে নারাজ। ইতিমধ্যে আমাদের বহু সহ যোদ্ধা দখলদার বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে কিন্তু আমাদের শক্তি সামর্থ এবং মনোবল অটুট আছে। শনিবার হামাস যোদ্ধারা তিন দখলদার সেনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে জানান দিলো তারা বীর বিক্রমে জীবন বাজি রেখে ফিলিস্তিনি জনগনের মুক্তির জন্য লড়াই করছে। এদিকে হামাস আরও দাবী করেছে যে গত সাড়ে চারমাসে দখলদার বাহিনীর অন্তত পাঁচ সহস্রাধীক সেনাকে তারা হত্যা করেছে। এবং হাজার হাজার ইমরাইলি সেনা পঙ্গুত্ব পরন করেছে। হামাসের পক্ষ হতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে মুসলিম বিশ্ব বিশেস করে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা পরিচালনায় দায়ী ইসরাইলি বিরুদ্ধে ব্যবস্থানিচ্ছে না। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতা নিয়াহু বলেছে ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে পক্ষে কিন্তু গাজা হতে ইসরাইলি সেনা বাহিনীর প্রত্যাহারের বিপক্ষে, অন্যদিকে হামাস চাইছে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি গতকাল আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে মিশর ও কাতারের পর এবং যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় সংযুক্ত হয়েছে ফ্রান্স। গতকাল মিশরের রাজধানী কায়রোতে মার্কিন হামাস ও ইসরাইলি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। মিশরের পক্ষ হতে সংবাদ মাধ্যম গুলোতে বলা হয়েছে আমরা যুগপোযোগী যুদ্ধ বিরতির কাছাকাছি এসেছি। আগামী দর্শ মার্চ হতে রোজা শুরু সব পক্ষই চােিছ রমজানের দিন গুলোতে যুদ্ধ বিরতির কার্যকর থাকুক। এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিকে জাতিসংঘের সদস্য বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। প্রতিবেদনটিতে মন্তব্য করা হয়েছে যে ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও ইসরাইলের আগ্রাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ভাবমূর্তি হারিয়েছে তা পুনরুদ্ধারের জন্য এই উদ্যোগ। এদিকে গাজার দূর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ও ফিলিস্তিনিদের খাদ্য অভাব দুর করনে একের এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার তিনটি সামরিক বিমানের মাধ্যমে গাজার বিভিন্ন স্পটেখাদ্য ফেলেছে। জর্দানের সহযোগিতায় প্যারাসুট ব্যবহার করে ত্রিশহাজার প্যাকেট খাদ্য সরবরাহ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম গাজায় ত্রান সরবরাহে সরাসরি নিসজেদেরকে সম্পৃক্ত করলো আল জাজিরা জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জর্দান ও ফ্রান্স ও গাজায় বিমানের মাধ্যমে খাদ্য ফেলেছে। গাজাবাসি ক্ষুধায় মৃত্যুপথ যাত্রী বিধায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জর্দান ও ফ্রান্সের খাদ্য সরবরাহ অভূক্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ আর্শীবাদ হিসেবে কাজ করছে। এদিকে গতকাল ও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস ও রাফা শহরের ব্যাপক ভিত্তিক হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় অন্যবারের ন্যায় এবারও হাসপাতাল ও আশ্রয় শিবির গুলো বাদ যাইনি। বিশেষ করে খান ইউনিসের আল আকসাও রাফার আল নাসের হাসপাতালে হামলা ও অভিযান পরিচালনা করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হুতি যোদ্ধাদের হামলায় একটি জাহাজ ডুবে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ভূক্ত দশটি দেশ সব ধরনের হামলা চালিয়েও হুতিদের রোধ করতে পারছে না। গতকাল হিজবুল্লাহ গেরিলারা লেবাননের অভ্যন্তর হতে কয়েকটি শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে। এদিকে হিজবুল্লাহর পক্ষ হতে আগামীতেও হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে মার্কিন বিমান সেনার আত্মহুতির ঘটনা বিশ্বময় আলোচনার বিষয়। হামাস বলেছে উক্ত সেনা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। গাজার সর্বত্র ক্ষুধা আর ক্ষুধা নেই সুপেয় পানি, আশ্রয় শিবির গুলোতে খাদ্য অভাবের পাশাপাশি নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত, এই মুহুর্তে গাজাবাসিকে রক্ষা করতে চিকিৎসার বিকল্প নেই।